Advertisement
বিশ্ব

২৪ বছরের চেষ্টা, রুক্ষ্ম জমিকে জঙ্গল বানালেন এক খ্যাপাটে বুড়ো

  • 1/5

ইচ্ছে থাকলে কিনা হয়। বিহারের বাসিন্দা দশরথ মাঝি ২২ বছর ধরে একাই পাহাড় কেটে বানিয়েছিলেন রাস্তা। আর ইন্দোনেশিয়ায় এক অনুর্বর পাথুরে জমিতে ঘন সবুজ জঙ্গলের সমাহার সৃষ্টি করলেন এক বৃদ্ধ। এলাকায় খ্যাপাটে বলেই পরিচিত ছিলেন ওই বৃদ্ধ। কিন্তু দেখা গেল তিনি আসলে ক্লাইমেট অ্যাক্টিভিস্ট বা জলবায়ুকর্মী। প্রায় এক চতুর্থাংশ শতাব্দী ধরে অবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে  বন্ধ্যা পাহাড়কে সবুজ বনভূমিতে পরিণত করলেন তিনি। (All Photos: Reuters)

  • 2/5

রয়টার্সের  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই বৃদ্ধের নাম সাদিমন, তিনি  গত ২৪ বছর ধরে এই অনুর্বর পাহাড়গুলিতে প্রাণের সঞ্চার ঘটাতে   কাজ করেছিলেন।  তিনি ওই রুক্ষ্ম  এসালাকায় জলের ব্যবস্থা করেনন, চারা রোপণ করেন এবং গাছগুলি বড় না  হওয়া অবধি জল সরবরাহ করেন। সাদিমনের এই কীর্তি দেখে ইন্দোনেশিয়ার সকলেই অবাক।

  • 3/5

সাদিমানের বয়স এখন ৬৯  বছর। ইন্দোনেশিয়ার সেন্ট্রাল জাভা অঞ্চলে আগুন লাগার কারণে নদী, বন সব শুকিয়ে গিয়েছিল। অঞ্চলটি বন্ধ্যা অবস্থায় ছিল। সাদিমান সেই বা়ঞ্জার এলাকায়এবং আশেপাশের পাহাড়ে গাছ লাগিয়েছিলেন। গোটা এলাকাকে  আবার সবুজ করে তুললেন।

Advertisement
  • 4/5


প্রতিবেদন অনুযায়ী ৬১৭ একড় জমিতে ১১ হাজার গাছের চারা লাগিয়েছিলেন সাদিমান।  যার বেশিরভাগই ডুমুরগাছ এবং বটগাছ। এই গাছের চারাগুলি ভূগর্ভস্থ জল সংরক্ষণে সহায়তা করেছে এবং জমিতে আর্দ্রতা ধরে রেখেছে। যখন সাদিমান এই কাজ শুরু করেন তখন স্থানীয় লোকজন তাকে পাগল বলে অভিহিত করেছিল।

  • 5/5

সাদিমান নিজেই বলেছেন যে লোকেরা এ জন্য আমাকে উপহাস করেছিল। আমি বটগাছের বীজ আনার পরেও লোকেরা বাধা সৃষ্টি করেছিল। তবে এখন মানুষ সাদিমনের প্রশংসা করতে ক্লান্ত হননা। এখন সাদিমানের সৃষ্টি করা এই জঙ্গল দেখতে ভিড় লেগেই থাকে মানুষের।
 

Advertisement