Advertisement
বিশ্ব

Gaza Starvation: গাজায় একমুঠো খাবারের জন্য হাহাকার, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অনাহারে ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যু হতে পারে, ভয়াবহ সব ছবি রইল

  • 1/13

গাজায় মানবিক সঙ্কট এতটাই গভীর হয়ে উঠেছে যে, পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই প্রায় ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যু হতে পারে, এমনই আশঙ্কাজনক সতর্কবার্তা দিল রাষ্ট্রসঙ্ঘ। গত তিন মাস ধরে ইজরায়েল যে কড়া মানবিক অবরোধ জারি রেখেছে, তাতে গোটা গাজা এখন কার্যত এক দুর্ভিক্ষ-গ্রস্ত মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। চারদিকে শুধু লাশ ও ধ্বংসস্তূপ। বারুদের গন্ধ, পোড়া লাশের গন্ধ মিলেমিশে বাতাসে শ্মশানের মতো আবহ।

  • 2/13

বিবিসি রেডিও-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার বলেন, 'যতটুকু ত্রাণ ঢুকেছে, তা সমুদ্রে একফোঁটা জলের মতো। আমরা চাই, অন্তত এই ১৪ হাজার শিশুর প্রাণ রক্ষা করতে, যাদের হাতে সময় বলতে গেলে নেই।' তিনি আরও জানান, গাজায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের ত্রাণকর্মীরা এখনও কাজ করছেন, যদিও তাঁদের অনেকেই ইতিমধ্যেই নিহত হয়েছেন ইজরায়েলের বোমা হামলায়।

  • 3/13

গাজা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ২,৯০,০০০ শিশু মারাত্মক অপুষ্টির শিকার। গড়ে প্রতিদিন ১১ লক্ষেরও বেশি শিশু ন্যূনতম পুষ্টির জোগান পাচ্ছে না। এক সরকারি বিবৃতিতে গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ‘খিদের মতো অস্ত্র ব্যবহার করছে ইজরায়েলি দখলদার বাহিনী। আন্তর্জাতিক মহলের নীরবতাও এই অপরাধে মদত জুগিয়ে চলেছে।’
 

Advertisement
  • 4/13

এই পরিস্থিতিতে এখনও পর্যন্ত অনাহারে অন্তত ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু এবং বৃদ্ধ। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলি বারবার বলছে, এই অবরোধ ও সাহায্য আটকে রাখার কৌশল আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধ।

  • 5/13

সোমবার রাষ্ট্রসঙ্ঘ জানিয়েছে, গাজায় আরও তিন জন রাষ্ট্রসঙ্ঘ কর্মী ইজরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন। আল জাজিরার খবর অনুযায়ী, তাঁদের মধ্যে দু’জন একটি রাষ্ট্রসঙ্ঘ পরিচালিত স্কুলে আশ্রয় নিতে এসে বোমার আঘাতে প্রাণ হারান।
 

  • 6/13

বিশ্বের বহু সংবাদমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থার দাবি, গাজায় চলতি যুদ্ধের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত ২০০-রও বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। চিকিৎসাকর্মী, উদ্ধারকারী দল এমনকি রাষ্ট্রসঙ্ঘের গাড়ির উপরেও একাধিকবার হামলা হয়েছে। অনেকের মতে, এটি ইজরায়েলের একটি পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ—যাকে 'গণহত্যা' বলেই ব্যাখ্যা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
 

  • 7/13

গাজায় ইজরায়েলের সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে এবার কড়া বার্তা দিল ব্রিটেন। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সংসদে জানান, 'ইজরায়েলের এই আগ্রাসন একেবারেই অসহনীয়। আমরা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানাচ্ছি।'
 

Advertisement
  • 8/13

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ব্রিটেন ইজরায়েলের সঙ্গে চলমান মুক্ত বাণিজ্য আলোচনাও স্থগিত করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, ইজরায়েলের উগ্রপন্থী বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছেন বিদেশ সচিব ডেভিড ল্যামি।
 

  • 9/13

ল্যামির বক্তব্য, 'আমি নিজে পশ্চিম তীরে গিয়ে দেখেছি, কীভাবে ইজরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা নিরীহ প্যালেস্তাইনের বাসিন্দাদের উপর অত্যাচার করছে। এই হিংসতা বন্ধ করার দায়িত্ব ইজরায়েল সরকারের। কিন্তু তারা বারবার ব্যর্থ হচ্ছে, আর তাতেই দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পথ আরও কঠিন হয়ে উঠছে।'
 

  • 10/13

এই রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত মঙ্গলবার গাজায় ইজরায়েলের বিমান হামলায় নতুন করে কমপক্ষে ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আল জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, গাজা সিটির একটি স্কুল-আশ্রয়কেন্দ্রে চালানো হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন এক গর্ভবতী মহিলাও। এই ধরনের হামলার একটাই লক্ষ্য—ভয় দেখানো, ধ্বংস ও গণহত্যা।
 

  • 11/13

সরকারি হিসেবে গাজায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫৩,০০০-রও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে গাজা প্রশাসনের তথ্য বলছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা হাজার হাজার মৃতদেহ ধরলে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা ৬১,৭০০-রও বেশি। আহতের সংখ্যা পেরিয়েছে ১,২১,০০০।

Advertisement
  • 12/13

বিশ্বের বহু দেশ ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ‘কঠোর পদক্ষেপ’ নেওয়ার কথা বললেও, তা এখনও পর্যন্ত বড়সড় কোনও রাজনৈতিক চাপ তৈরি করতে পারেনি। এই অবস্থায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের সর্বোচ্চ স্তর থেকে যেভাবে শিশু মৃত্যুর আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, তা বিশ্ব বিবেককে না জাগালে আর কাকে জাগাবে?

  • 13/13

গাজায় বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তা আক্ষরিক অর্থেই মানব সভ্যতার অন্যতম কুত্‍‍‌সিত ও নৃশংস ঘটনার উদাহরণ।

Advertisement