মার্কিন নির্বাচনে জয়ী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়ে অবশেষে সম্মত হয়েছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তোলাসহ নানা উপায়ে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন ট্রাম্প। কিন্তু মিশিগান অঙ্গরাজ্যের আইনপ্রণেতাদের যথাযথ উদ্যোগের কারণেই ট্রাম্পের সব প্রয়াস কার্যত ভেস্তে গেছে।
মার্কিন গণমাধ্যম জানায়, সোমবার বিকেলে দেশটির জেনারেল সার্ভিসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিএসএ) থেকে পাঠানো এক চিঠিতে সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রানজিশন প্রক্রিয়া শুরুর প্রস্তুতি নিতে বলা হয়।
মিশিগান রাজ্যে বাইডেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী হিসেবে সার্টিফাই করার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জিএসএ। বাইডেনকে ‘আপাত বিজয়ী’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জিএসএ’র প্রধান কর্মকর্তা এমিলি মারফি।
তবে ক্ষমতা হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়ে সম্মত হলেও এখনো নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক পরাজয় মেনে নেননি ট্রাম্প। তিনি লড়াই অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন।
মিশিগানে বাইডেনের আনুষ্ঠানিক বিজয় ঘোষণার পরই ট্রাম্প জিএসএর প্রধান এমিলি মারফিকে বাইডেন প্রশাসনকে ক্ষমতা গ্রহণের প্রস্তুতি নিতে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়ে ট্যুইট করেছেন। সোমবার এক ট্যুইটে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জিএসএর এমিলি মারফিকে আমাদের দেশের প্রতি দৃঢ় নিষ্ঠা ও আনুগত্যের জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। তাকে হয়রানি করা হয়েছে, হুমকি দেওয়া হয়েছে, নির্যাতন করা হয়েছে। তাঁর বা তাঁর পরিবার বা জিএসএর কোনো কর্মচারীর সঙ্গেই এটা ঘটুক তা আমি চাই না। আমাদের মামলাগুলো জোর কদমে এগিয়ে চলেছে। আমরা ভালোভাবে লড়াই করে যাব। আর বিশ্বাস করি, আমরা টিকে থাকব।’
ট্রাম্প জানান, তিনি নির্বাচনী পরাজয় নিয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে গেলেও ক্ষমতা হস্তান্তরে তদারকি করা ফেডারেল এজেন্সির অবশ্যই ‘যা করা দরকার তা করতে হবে।’
জিএসএ-র ঘোষণার পরপরই পেন্টাগন জানিয়েছে, তারা বাইডেন শিবিরকে সব ধরনের সহযোগিতায় প্রস্তুত। বাইডেন শিবিরের ট্রানজিশন ওয়েবসাইটও সরকারি ডোমেইন স্থান পেয়েছে।
আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার প্রস্তুতিরত বাইডেনের শিবির তাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরুর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
বাইডেনের টিম এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘মহামারিকে নিয়ন্ত্রণে আনা ও আমাদের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারসহ আমাদের গোটা জাতির সামনে যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তা মোকাবিলা করার জন্য এদিনের সিদ্ধান্তটি গুরুত্বপূর্ণ। এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি ফেডারেল এজেন্সিগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রান্সজিশন প্রক্রিয়া শুরু করার একটি চূড়ান্ত প্রশাসনিক ব্যবস্থা।’
সোমবার বাইডেন তার পররাষ্ট্র নীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা দলের নামও ঘোষণা করেছেন, এসব দলে ওবামা প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাই স্থান পেয়েছেন।