ভার্চুয়াল দুনিয়াতেও নিরাপত্তা নেই মেয়েদের! মেটাভার্সের কল্পদুনিয়াতে ১৬ বছরের কিশোরীর গণধর্ষণ। প্রযুক্তির উন্নতিতে সম্প্রতি 'ডিপফেক' অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রশ্মিকা মান্দানা সহ অনেক বলিউড অভিনেত্রী এর শিকার। সেই খবরও শিরোনামে এসেছে। তারই মধ্যে ভার্চুয়াল মাধ্যমে গ্যাং রেপের খবরে স্তব্ধ নেটিজেনদের একাংশ।
কোভিড সময়কালে মেটাভার্স শব্দটির সঙ্গে পরিচিতি। প্রযুক্তির এই কল্পদুনিয়ায় অনেকেই বিয়ে করেছেন এমনও শোনা গেছে, কিনেছেন জমি ও দোকানপাটও। ভবিষ্যৎ প্রজন্মে মেটাভার্সই জায়গা করে নিতে চলেছে। সেই মেটার জগতেও ঘটছে অপরাধ।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্রিটেনে 'মেটাভার্স'-এর কিছু পরিচয়হীন ব্যক্তি এক কিশোরীকে যৌন আক্রমণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। ডিজিটাল অবতারে মেয়েটির সঙ্গে এই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ব্রিটেনের পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।
ঠিক যা ঘটেছে
জানা যায়, ভিআর (ভার্চুয়াল রিয়েলিটি)-র হেডসেট পরে একটি গেম খেলছিল কিছু যুবক। সেখানেই তরুণীর সঙ্গে এই ঘটনা ঘটে। যদিও তার কোনও শারীরিক ক্ষতি হয়নি। পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, সে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।
কর্মকর্তার মতে, বাস্তব জগতের মতোই একজন ধর্ষণের শিকার ব্যক্তির হৃদয় ও মন প্রভাবিত হয়। একই ঘটনা ঘটেছে ভার্চুয়াল জগতের এই হামলায়। মেটাভার্সে এর আগেও এমন অনেক ঘটনা সামনে আসলেও গণধর্ষণের ঘটনা এই প্রথম। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এতে ভুক্তভোগীর মানসিক এবং মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব রয়েছে, যা শারীরিক আঘাতের চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হয়।
এই মামলার পর তদন্ত নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন যে, পুলিশ ভার্চুয়াল ধর্ষণের মামলার তদন্ত কীকরে করবে? যেখানে বাস্তব জগতে অনেক ধর্ষণের মামলার তদন্ত আটকে আছে। ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি এই বিষয়ে তদন্তকে সমর্থন করেছেন।
মেটাভার্স কী বলছে?
ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা হরাইজন ওয়ার্ল্ডস নামে একটি ভিআর গেম পরিচালনা করে। এর আগেও এই গেমটিতে ভার্চুয়াল যৌন অপরাধের অনেক ঘটনা ঘটেছে।