scorecardresearch
 
Advertisement
বিশ্ব

কীভাবে-কবে চালু হয়েছিলে চিকেন খাওয়া? অবাক করা তথ্য

প্রতীকী ছবি
  • 1/12

মুরগি খাওয়ার আগে মানুষ তা পালন করতে শুরু করে। কিন্তু তা করে শুরু হয়েছিল এবং কেন? মুরগি কি দেখতে ভাল ছিল? নাকি মানুষ আগে চিকেনের স্বাদ জানত না। তারপর হঠাৎ করে কী এমন হল যে মুরগি একটি প্রিয় খাবার হয়ে উঠল? এটা জানার জন্য ইউরোপের বিজ্ঞানীরা বিশ্বের অনেক দেশে গবেষণা চালান। চলুন জেনে নিই মুরগি লালন-পালন থেকে তা খাওয়া পর্যন্ত মজার গল্প...

প্রতীকী ছবি
  • 2/12

পূর্ববর্তী গবেষণায়, জানা গিয়েছিল যে ১০ হাজার বছর আগে এশিয়ায় মুরগি পালনের ধারা শুরু হয়। বিশেষ করে চীন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বা ভারতে। পরে জানা যায় ইউরোপে মুরগি খাওয়ার প্রচলন শুরু হয় ৭০০০ বছর আগে। 

প্রতীকী ছবি
  • 3/12

মানুষ কবে থেকে মুরগি পালন শুরু করেছে তা ইউরোপীয় গবেষকরা স্পষ্ট করেছেন। খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ সাল নাগাদ হাঁস-মুরগি পালন শুরু হয়। অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ৩৫২২ বছর আগে। সবচেয়ে প্রথমে লাওস, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, মায়ানমার এবং থাইল্যান্ডে প্রতিপালন শুরু হয়। অর্থাৎ চিন এবং ইউরোপে হাজার হাজার বছর আগে মুরগি গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে ছিল না। অন্তত নয়া গবেষণায় সেটাই দেখা যাচ্ছে।
 

Advertisement
প্রতীকী ছবি
  • 4/12

মুরগির প্রতিপালন নিয়ে করা গবেষণাটি দুটি ভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় এক্সেটার, মিউনিখ, কার্ডিফ, অক্সফোর্ড, বোর্নেমাউথ, টুলুস, জার্মানি এবং ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা যুক্ত ছিলেন। 

আরও পড়ুনছেঁড়া সেকেন্ড হ্যান্ড সোফা ফ্রি-তে, ভিতরে মিলল ২৮ লক্ষ টাকা

প্রতীকী ছবি
  • 5/12

গবেষণার জন্য, বিজ্ঞানীরা ৮৯টি দেশে ৬০০টি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান পরীক্ষা করেন। সেখান থেকে পাওয়া মুরগির দেহাবশেষ নিয়ে গবেষণা শুরু করেন তাঁরা। যাতে মুরগির হাড় থেকে সেগুলির অভ্যন্তরীণ গঠন সম্পর্কে জানা যায়। এর পরে, যেখানে এই হাড়গুলি পাওয়া গিয়েছে সেখানকার সংস্কৃতি ও সমাজের ইতিহাসও পাওয়া যায়। 

প্রতীকী ছবি
  • 6/12

ইউনিভার্সিটি অফ এক্সেটারের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিত অনুযায়ী, এভিয়ান আর্কিওলজির বিশেষজ্ঞ ডক্টর জুলিয়া বেস্ট জানান, প্রথমবারের মতো তাঁরা রেডিওকার্বন ডেটিং-এর মাধ্যমে সমাজে মুরগির গুরুত্ব আবিষ্কার করেছেন। তাঁদের অধ্যয়নে স্পষ্টভাবে দেখা গিয়েছে যে, কখন মুরগির সঙ্গে মানুষের পরিচয় হয়েছিল। কবে মুরগি প্রতিপালন শুরু হয়েছে এবং কবে সেগুলিকে খাওয়া শুরু হয়েছে। 

 

আরও পড়ুন - পৃথক সময়ে গর্ভধারণ, তবুও একসঙ্গে যমজ সন্তানের জন্ম দিলেন মহিলা, কীভাবে?

প্রতীকী ছবি
  • 7/12

প্রাচীনতম যে গার্হস্থ্য মুরগির হাড়গুলি পাওয়া যায় নিওলিথিক যুগের (Neolithic Era)। অর্থাৎ ১২৫০ থেকে ১৬৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে। মধ্য থাইল্যান্ডের ওয়াট বান নন এলাকা থেকে ওই হাড়গুলো পাওয়া গিয়েছে। 

Advertisement
প্রতীকী ছবি
  • 8/12

ইউরেশিয়া এবং উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকা থেকে পাওয়া কিছু মুরগির হাড় ৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের। সেই মুরগিগুলিকে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এর পরে আরও ১০০০ বছর কেটে যায়। ততদিন মুরগি পৌঁছে যায় আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, স্ক্যান্ডিনেভিয়া এবং আইসল্যান্ডে। কিন্তু আসলে থাইল্যান্ডেই মুরগির গৃহপালন শুরু হয়। আর এই ঘটনাটি প্রায় ২৫০০ বছরের পুরনো। দেশি মুরগি থাইল্যান্ড থেকে এশিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। সেখান থেকে সমুদ্রপথে গ্রিস, ইউরোপসহ অন্যান্য দেশে পৌঁছায় মুরগি।

প্রতীকী ছবি
  • 9/12

আসলে ধান চাষের সঙ্গে মুরগির ও মানুষের সম্পর্ক জড়িত। আশ্চর্যজনক হলেও, চিকেন-ভাত, চিকেন বিরিয়ানির মতো অনেক খাবারের দিকে তাকালে জানা যায়, ভাতের কারণে মুরগি ও মানুষের মধ্যে নতুন সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ধান চাষ শুরু হয়। ধানের চাষ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লাল জঙ্গলফাউল মানুষের কাছাকাছি আসতে শুরু করে।

প্রতীকী ছবি
  • 10/12

লাল জঙ্গলফাউল (Red Junglefowl) হল মুরগির মতো দেখতে এক ধরনের পাখি। সেগুলি আসলে চাল চুরি করতে আসত। কিন্তু ধীরে ধীরে মানুষের সঙ্গে তাদের ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়। মানুষ লাল জঙ্গলফাউলের ​​দুটি প্রজাতিকে প্রতিবালন শুরু করে। যা পরবর্তীতে দেশি মুরগিতে পরিণত হয়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনতত্ত্ববিদ ও প্রত্নতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. গ্রেগর লারসেন বলেন, মুরগি পালনের ব্যাপারে মানুষের ধারণা কতটা ভুল ছিল, তা এখন পরিষ্কার হয়ে গেছে।
 

প্রতীকী ছবি
  • 11/12

গ্রেগর বলেন, প্রথম খ্রিস্টপূর্বাব্দে যাকে লৌহ যুগও বলা হয়, সেই সময়ে মোরগ ইউরোপের খাদ্য ও পানীয়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। সে সময় মুরগিকে পবিত্র মনে করা হতো। মুরগি জবাই বা হত্যার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। রোমান সাম্রাজ্যের সময়, মুরগি এবং ডিম খাদ্য ও পানীয়ের জন্য ব্যবহৃত হত।

Advertisement
প্রতীকী ছবি
  • 12/12

খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতাব্দীর দিকে ব্রিটেনে মুরগি খাওয়ার প্রথা শুরু হয়। এরপর মুরগি হত্যা বাড়তে থাকে। এখন পর্যন্ত মানুষের মনে মুরগির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক নিয়ে অনেক ভুল ধারণা ছিল, যা এই গবেষণার ফলাফল আসার পর বদেল গিয়েছে।

Advertisement