৯ হাজার বছরের পুরনো মন্দির উদ্ধার, জানা গেল নব্যপ্রস্তর যুগের জীবনযাত্রা

সংবাদ সংস্থা এপির তথ্য অনুযায়ী, পুজোর ওই জায়গাটি যেখানে পাওয়া গিয়েছে সেখানে একটি বড় কাঠামো, যাকে  'Desert Kites' বলা হয় সেটি রয়েছে। মনে করা হচ্ছে যে, বন্য প্রাণীদের শিকার করা জন্য সেটি ব্যবহার করা হত। এভাবেই সেই সময়ের মানুষজন শিকার করতেন। 

Advertisement
৯ হাজার বছরের পুরনো মন্দির উদ্ধার, জানা গেল নব্যপ্রস্তর যুগের জীবনযাত্রানব্যপ্রস্তর যুগের পুজোর জায়গা
হাইলাইটস
  • নব্যপ্রস্তর যুগের পুজোর স্থল উদ্ধার
  • জর্ডনের পূর্ব মরুভূমির নব্যপ্রস্তর সাইটে পাওয়া গিয়েছে
  • জায়গাটি প্রায় ৯ হাজার বছরের পুরনো বলে মনে করা হচ্ছে

জর্জনের পূর্ব মরুভূমিতে নব্যপ্রস্তর যুগের একটি মন্দির বা পুজোর জায়গা উদ্ধার হয়েছে। জর্ডন ও ফ্রান্সের একটি প্রত্নতত্ত্ববিদদের একটি দল সেই তথ্য় দিয়ে জানায় যে, ওই পুজোর জায়গাটি জর্ডনের পূর্ব মরুভূমির নব্যপ্রস্তর সাইটে পাওয়া গিয়েছে। ওই পুজোর জায়গাটি প্রায় ৯ হাজার বছরের পুরনো বলে মনে করা হচ্ছে। 

সংবাদ সংস্থা এপির তথ্য অনুযায়ী, পুজোর ওই জায়গাটি যেখানে পাওয়া গিয়েছে সেখানে একটি বড় কাঠামো, যাকে  'Desert Kites' বলা হয় সেটি রয়েছে। মনে করা হচ্ছে যে, বন্য প্রাণীদের শিকার করা জন্য সেটি ব্যবহার করা হত। এভাবেই সেই সময়ের মানুষজন শিকার করতেন। 

এই ধরণের কাঠামোতে ২টি বা তার চেয়েও বেশি বড় পাথরের দেওয়াল থাকে, সেগুলি সামনের দিকে সংকীর্ণ হয়ে যায়। সেই দেওয়ালেই আটকে যেত বন্য প্রাণীগুলি। তারপর সেগুলির শিকার করা হত। মধ্য-পূর্বে মরুভূমিতে বিভিন্ন জায়গায় এই ধরণের কাঠামো পাওয়া যায়। 

ওই পুজোর স্থানটিকে যে দলটি খুঁজে বের করেছে তাদের সহ-পরিচালক তথা জর্ডনের প্রত্নতাত্ত্বিক ভেল আবু-আজিজা বলেন, 'এই সাইটটি অনন্য। এটি যেভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে তা বিস্ময়কর। এটি প্রায় ৯ হাজার বছর পুরনো, তবে এখনও প্রায় সবকিছুই অক্ষত রয়েছে।'

উপাসনালয়ের ভিতরে দুটি খোদাই করা দাঁড় করানো পাথর পাওয়া গিয়েছে, যার উপরে মানব মূর্তি খোদাই করা হয়েছে। সেগুলির কাছে একটি পূজোর বেদি, চুল্লি, সামুদ্রিক পাথর এবং একটি প্রাণীদের ফাঁদে ফেরার একটি ছোট মডেলও পাওয়া গিয়েছে। গবেষকরা বলেছেন, যে মন্দিরটি নব্যপ্রস্তর যুবের মানুষের শৈল্পিক অভিব্যক্তি ও আধ্যাত্মিক সংস্কৃতি দিকটি তুলে ধরছে।

গবেষকরা আরও জানাচ্ছেন, ওই জায়গা থেকে যে ফাঁদের মডেল পাওয়া গিয়েছে তার থেকে বোঝা যাচ্ছে সেই সময়ের মানুষেরা শিকারী ছিলেন। ২০২১ সালে ওই অঞ্চলে খননকার্য চালান হয়।  

আরও পড়ুনহানিমুনে গিয়ে স্বামীর ফোনটায় চোখ রাখতেই সব ফাঁস! বাকিটা...

Advertisement


 

POST A COMMENT
Advertisement