শুক্রবার ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ফিলিপিন্স। কম্পনের তীব্রতা রিখটার স্কেলে ৭.৬ বলে জানিয়েছে সেই দেশের সিসমোলজি সংস্থা। তার পরই সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যার ফলে উপকূলবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারীদের সরিয়ে আনা হচ্ছে অন্যত্র।
এই প্রসঙ্গে ফিলিপিন্সের ভলক্যানোলজি এবং সিসমোলজি জানিয়েছে, সমুদ্রের ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। যার ফলে জরি হয়েছে সুনামির সতর্কতা।
ক্ষয়ক্ষতি কতটা?
এখনও ভূমিকম্প পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। এমনকী কতজন এই ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছে বা আহত হয়েছে সেই খবরও মেলেনি।
তবে জোর কম্পনের জেরে ভয় পেয়ে গিয়েছে সেই দেশের অধিবাসীরা। তাই অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে এসেছে। রাস্তায় দৌড়াতে দেখা যাচ্ছে তাদের। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে রোগী ও স্টাফ। বিস্তির্ণ অঞ্চলে নেই বিদ্যুৎ।
যদিও ভূমিকম্পের পর থেকেই সতর্কতা জারি হয়েছে মিন্ডানাও এবং তৎসংলগ্ন জায়গায়। এই জায়গাগুলি ভূমিকম্প প্রবণ। তাই এখানকার অধিবাসীদের বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে সেই দেশের প্রশাসন।
কাজ শুরু করে প্রশাসন
ইতিমধ্যেই নিজেদের কাজ শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন। তারা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল থেকে মানুষদের সরিয়ে আনার কাজ করছেন। শুধু তাই নয়, হাসপাতাল, স্কুল, রাস্তা বা অন্য কোনও জরুরি স্থানের ক্ষতি হয়ে থাকলে, সেগুলি সারিয়ে তোলার কাজে লেগে পড়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বারবার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ফিলিপিন্স
অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ জায়গা হল ফিলিপিন্স। এই ভূ-ভাগের নীচেই রয়েছে অনেক দুটি টেকটনিক প্লেট, যথা- ফিলিপিন্স সি প্লেট, ইউরেশিয়ান প্লেট। আর অনেক সময় এগুলি একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই সংঘর্ষের ফলেই পৃথিবীর অভ্যন্তরে অত্যন্ত চাপ তৈরি হয়। তার ফলেই ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ফিলিপিন্স।
খুবই ভয়ঙ্কর ছিল এ বারের ভূমিকম্প
এই ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৭.৬ রিখটার স্কেল। আর এতটা তীব্র ভূমিকম্পের জন্য ভয়াবহ ক্ষতি হতে পারে। ভেঙে পড়তে পারে বিল্ডিং। রাস্তার হতে পারে ক্ষতি। শুধু তাই নয়, বহু মানুষের প্রাণহানীর আশঙ্কা থাকে।
যদিও এখনও এই ভূমিকম্পে কতজন প্রাণ হারিয়েছে, সেটা প্রথামিক রিপোর্টে জানা যায়নি।
সুনামির সতর্কতা জারি হয়েছে
এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল সমুদ্রের নীচে। তাই ফিলিপিন্স জুড়ে জারি হয়েছে সুনামি সতর্কতা। দ্রুত সরে যেতে বলা হয়েছে সমুদ্র আশপাশে থাকা মানুষজনদের।