Gaza Parle-G Biscuit: ৫ টাকার পার্লে-জি বিস্কুটের দাম ২৩৪২! মেয়ের আবদার পূরণে নাজেহাল বাবার কাহিনি ভাইরাল

পার্লে-জি। জি মানে জিনিয়াস। নাইনটিস কিডস মানেই পার্লে-জি বিস্কুট চাই-ই-চাই। তবে ভারতীয় এই বিস্কুটের প্রতি সুদূর গাজার শিশুর ভালবাসা যে এত প্রবল, তা জানা ছিল না কারওই। আর সন্তানের প্রিয় বিস্কুট আনতে তোলপাড় করে ফেললন বাবা। ৫ টাকার পার্লে-জি কিনলেন ২৩০০ টাকায়!

গাজার বাসিন্দা মহম্মদ জাওয়াদ। যুদ্ধ বিধ্বস্ত প্যালেস্তাইনের এই নাগরিক মহম্মদ জাওয়াদ। তবে ধ্বংস নয়, মহম্মদ জাওয়াদ জানিয়েছেন তাঁর একরত্তি মেয়ের কথা। রাভিফ। ভিডিওতে মেয়ের হাতে দেখা যাচ্ছে পার্লে-জি বিস্কুটের একটি প্যাকেট। জাওয়াদ লিখেছেন, ‘অনেক অপেক্ষার পরে আমি রাভিফের পছন্দের বিস্কুট জোগাড় করতে পারলাম। দাম অনেক বেড়ে গেলেও রাভিফকে ওর পছন্দের বিস্কুট দিতে আমি না করতে পারিনি।’

জাওয়াদ লিখেছেন দেড় ইউরো থেকে এখন এক প্যাকেট পার্লে-জি বিস্কুটের দাম এসে ঠেকেছে ২৪ ইউরোয়। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ২৩৪২ টাকা। অর্থাৎ সামান্য ৫ টাকার সস্তার বিস্কুট মেয়ের হাতে তুলে দিতে গাজার বাসিন্দার খরচ পড়েছে ২৩৪২ টাকা। 

জাওয়াদের এই পোস্ট হু হু করে ভাইরাল হয়েছে। যা দেখে বিস্মিত নেটিজেনরা।  সাহায্যের জন্য ভারত সরকার ও পার্লে জি প্রস্তুতকারক সংস্থাকে ট্যাগ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন অনেকে।

জানা গিয়েছে, ভারত প্যালেস্তাইনে পার্লে জি ত্রাণ হিসেবে পাঠিয়েছিল। কিন্তু হামাস সেই ত্রাণের ট্রাক লুঠ করে কালোবাজারে এগুলি বিক্রি করছে। ওই পোস্ট শেয়ার করে জাওয়াদ লিখেছেন, ‘কেউ কেউ ভাবছেন যা ত্রাণ আসে সেগুলি গাজায় ঠিকমতো বিলি করা হয়। কিন্তু দখলদারেরা অনেক চোর নিযুক্ত করেছে, যারা এগুলো নিয়ে বাইরে কালো বাজারে বিক্রি করে। এখানে ময়দা বিক্রি হয় ৫০০ ডলারে। প্রতি কেজি চিনি কিনতে লাগে ৯০ ডলার। যাঁরা কিনতে পারেন না, তাঁরা নিজেদের জীবন বাজি রেখে খাবার জোগাড় করেন।’

তীব্র খাদ্য সঙ্কটে ভুগছে যুদ্ধের ফলে কার্যত শ্মশানে পরিণত হওয়া গাজা। অসংখ্য শিশু পুষ্টির অভাবে মৃতপ্রায়। কিন্তু ইজরায়েল গাজায় ত্রাণ ঢোকাতে নানা বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর ফলেই গাজায় যে কোনও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। এই পরিস্থিতিতে সন্তান প্রিয় বিস্কুট জোগাড় করতে এক বাবা এই জানকবুল প্রচেষ্টা আবেগতাড়িত করেছে নেটিজেনদের।