আফগানিস্তান রবিবার ১ অক্টোবর থেকে ভারতে নিজেদের দূতাবাস সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা করে দিয়েছে। ভারত সরকারের তরফ থেকে সমর্থনের অভাব এবং আফগানিস্তানের স্বার্থপূর্তি হওয়ার সব রকম আশা নিষ্ফল হয়ে যাওয়ায় তারা এই দূতাবাসটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অফিসিয়াল বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে আফগানিস্তান দূতাবাস।
বলা হয়েছে, "ভারত সরকারের তরফ থেকে গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন দেওয়া হচ্ছে না। যাতে আমাদের কাজকর্মে বাধা উৎপন্ন হচ্ছে। বয়ানে এরপর বলা হয় যে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে হতাশার সঙ্গে আমরা জানাতে বাধ্য হচ্ছি যে নয়াদিল্লিতে আফগানিস্তানে দূতাবাস নিজেদের পরিচালনা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখজনক হওয়া সত্ত্বেও আফগানিস্তান এবং ভারতের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক এবং দীর্ঘকালীন অংশীদারিত্বের বিষয়টি মাথায় রেখে সাবধানে বিষয়টি নিয়ে বিচার করা হচ্ছে।
দূতাবাসের তরফ থেকে জারি করা বয়ানে বলা হয়েছে, তারা ভারতের রাজনৈতিক সমর্থনের অভাব এবং কাবুলে বৈধ কাজকর্মে সরকারের তরফে অনুপস্থিতির কারণে আফগানিস্তান এবং তাদের নাগরিকদের সর্বোত্তম হিতের কথা চিন্তা করে দূতাবাসটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ভারত ছেড়ে চলে গেছেন আফগানি দূতাবাস কর্মীরা
দূতাবাসের ৩ আধিকারিক শুক্রবার সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন যে, ঘটনাক্রম আফগান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত এবং অন্যান্য সিনিয়র অফিসাররা ভারত ছেড়ে ইউরোপ চলে গিয়েছেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের অফিসাররা জানিয়েছেন যে কমপক্ষে ৫ জন কূটনৈতিক ভারত ছেড়ে চলে গিয়েছেন।
২০২১ এ বন্ধ হয়ে যায় আফগানে ভারতীয় দূতাবাস
এ বিষয়ে উল্লেখ্য যে ২০২১ সালে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারত, আফগানিস্তানে নিজেদের দূতাবাস বন্ধ করে দেয়। যদিও ভারত সরকার পদস্থ আফগান রাষ্ট্রপতি আশরাফ গনির দ্বারা নিযুক্ত রাজদূত এবং মিশন স্টাফদের ভারতে ভিসা জারি রাখার এবং ব্যবসার বিষয়ে কাজকর্মের সামলানোর জন্য অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু এখন তালিবানরা, ভারতে আফগান দূতাবাসের সম্পূর্ণভাবে কাজকর্ম বন্ধ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।