পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে বেশ কয়েকদিন ধরে যুদ্ধ চলার পর ৪৮ ঘণ্টার সংঘর্ষ বিরতি চলছে। তবে ছোটোখাটো সংঘাতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এখনও অশান্ত দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান ও তালিবান সরকার নিয়ে মুখ খুলল চিন। শি জিনপিংয়ের সরকার সাফ করে দিল নিজেদের অবস্থান।
চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান জানান, তাঁরা পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সংঘাত নিয়ে অবগত। দুই দেশ সংলাপের মাধ্যমে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছে। সেটা আশার কথা। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য দুই দেশের শান্তি সমঝোতা করা গুরুত্বপূর্ণ। চিন এই পদক্ষেপকে সমর্থন করে ও স্বাগত জানাচ্ছে।
তবে আমেরিকাকে আক্রমণ করেন লিন জিয়ান। বলেন, 'চিন বরাবর নিজের অবস্থান জানিয়ে এসেছে। আমরা চাই প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে শান্তি বজায় থাকুক। রাশিয়া সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চিনের বাণিজ্য ও জ্বালানি সহযোগিতা স্বাভাবিক এবং আইনি। তবে আমেরিকার একতরফা এবং হুমকিমূলক অবস্থান আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়মকে প্রভাবিত করেছে। এতে অনেক দেশের ক্ষতি হচ্ছে।'
তবে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান, কোনও দেশের পাশে এককভাবে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেননি চিনের বিদেশমন্ত্রক। বরং তাঁরা চান, দুই দেশের মধ্যে শান্তি থাকুক। জানান লিন জিয়ান। বলেন, 'পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান দুই দেশই চিনের প্রতিবেশ। প্রতিবেশীকে কখনও বদলানো যায় না। উভয় দেশকে শান্ত ও সংযত হতে হবে। সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করতে হবে।' পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সংঘাত থামাতে মধ্যস্থতা করতেও রাজি চিন। জানান বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র।
গত ৮ অক্টোবর থেকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। তালিবান সরকারের সেনা ও পাক সেনার মধ্যে গুলি বিনিময় চলে। দফায় দফায় গুলিবর্ষণ ও বোমাবাজির জেরে অনেকে নিহত হয়। বুধবার পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর হামলায় কান্দাহারে ১৫ জন আফগান নাগরিক নিহত এবং ১০০ জনেরও বেশি আহত হন। তারপরই ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে দুই দেশ।