নেপালে জেন জি আন্দোলনআবার নতুন করে জেন জি আন্দোলন শুরু হয়েছে নেপালে। এ বার স্থান বারা জেলা। এই জেলার সেমরা বিমানবন্দরের বাইরে রবিবার আন্দোলন করতে দেখা যায় জেন জি-দের। আসলে আন্দোলনকারীদের ক্ষোভ রয়েছে UML নেতা মহেশ বাসনেতের উপর। তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিকে আগের জেন জি আন্দোলনের সময় সমর্থন করেছিলেন বলে অভিযোগ। যার ফলে নতুন করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি।
নতুন করে রাস্তা দখল করেছে জেন জি-রা
চলতি বছরেই বিরাট জেন জি আন্দোলন দেখেছে নেপাল। সেই আন্দোলনের ফলে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। আর সেই সময়ই নাকি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে সমথর্ন করেছিল UML লিডার মহেশ বাসনেত বলে অভিযোগ। তাই তাকে ঘিরেই শুরু হয়েছে বিক্ষোভ।
যতদূর খবর, রবিবার একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বারা জেলায় পৌঁছনোর কথা ছিল UML লিডার শঙ্কর পৌদেল এবং মহেশ বাসনেটের। তবে সেই কথা জানতে পেরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে জেন জি-রা। তারা দখল নেয় রাস্তার। পাশাপাশি সেমরা এয়ারপোর্টের বাইরে আন্দোলন করতে থাকে।
দ্রুত সেখানে আন্দোলনকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়। এমতাবস্থায় বাড়ানো হয় এয়ারপোর্টের সিকিউরিটি। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি খুব একটা নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
অবস্থা বুঝে জেলাশাসক ধর্মেন্দ্র কুমার মিশ্র দ্রুত কার্ফু ঘোষণা করে দেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী, দুপুর ১২টা ৩০ থেকে রাত ৮ পর্যন্ত সেমরা এয়ারপোর্ট এবং তার আশপাশের এলাকায় জারি থাকছে কার্ফু। ডিএম মিশ্র জানান, এই পদক্ষেপ নেওয়া খুবই জরুরি ছিল। নইলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে যেতে পারে।
সব ফ্লাইট রয়েছে ক্যানসেল
এই কার্ফু জারি হওয়ার পর থেকেই এয়ারপোর্টের আধিকারিকরাও ঝুঁকি নিতে চাইছে না। তাই ইতিমধ্যেই সেমরা এয়ারপোর্ট থেকে সব ফ্লাইট ক্যানসের করা হয়েছে। যার ফলে বিপদে পড়েছে যাত্রীরা। তারা গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেন না। তবে নিরপত্তা সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এই কাজটা করা ছাড়া উপায় ছিল না বলেই জানাচ্ছে সেই দেশের প্রশাসন।
আসলে কথায় আছে ঘর পোড়া গোরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়। আর নেপালের ক্ষেত্রেই এই কথাটা সত্যি। তারা কিছুদিন আগেই দেখেছে জেন জি আন্দোলের ভয়াবহ রূপ। দুর্নীতি, কর্মসংস্থানের অভাব সহ একাধিক দাবি নিয়ে তখন গর্জে উঠেছিল তারা। যার ফলে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ওলি। তার সরকার পড়ে যায়।
তাই বর্তমানে আর রিস্ক নিতে চাইছে না প্রশাসন। তারা তড়িঘড়ি কার্ফু ডেকে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা চলছে বলেই খবর। এক্ষেত্রে জমায়েত বন্ধ করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে দাবি, পরিস্থিতি না বদলালে কার্ফু আরও বাড়ানো হতে পারে।