Pakistan Richest Person : পাকিস্তানের 'আম্বানি' শাহিদ খান, তাঁর মেয়ে এইভাবে খরচ করেছেন ১২৩ কোটি

পাকিস্তান অর্থনৈতিক সংকট চলছে। সেই দেশজুড়ে হাহাকার সাধাররণ মানুষের। কোটি কোটি মানুষ এখন অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের সমস্যাতে ধুঁকছে। তবে সেদেশে কোটিপতির সংখ্যাও কম নয়। পাকিস্তানের ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম ব্যবসায়ী শাহিদ খান।

Advertisement
পাকিস্তানের 'আম্বানি' শাহিদ খান, তাঁর মেয়ে এইভাবে খরচ করেছেন ১২৩ কোটিশান্না খান ও শাহিদ খান
হাইলাইটস
  • পাকিস্তান অর্থনৈতিক সংকট চলছে
  • তবে সেই দেশেও আছে কোটিপতি

পাকিস্তান অর্থনৈতিক সংকট চলছে। সেই দেশজুড়ে হাহাকার সাধাররণ মানুষের। কোটি কোটি মানুষ এখন অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের সমস্যাতে ধুঁকছে। তবে সেদেশে কোটিপতির সংখ্যাও কম নয়। পাকিস্তানের ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম ব্যবসায়ী শাহিদ খান। তাঁকে পাকিস্তানের আম্বানিও বলা হয়। তবে এই মুহূর্তে শাহিদ খানের চেয়ে বেশি আলোচনায় তাঁর মেয়ে শান্না খান। 

শান্না খানকে নিয়ে এত আলোচনার কারণ তাঁর সাম্প্রতিক কাজকর্ম। তিনি প্রচুর টাকা দান-খয়রাতি করেছেন। শাহিদ খানের মেয়ে একাই বিলিয়েছেন প্রায় ১২৩ কোটি টাকা। শাহিদের পরিবারের অন্য সদস্যরা অনুদান দিলেও সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছেন শান্না। সামাজিক কাজে বেশি আগ্রহী শান্না খানের জাগুয়ার ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা চালান। 

প্রতিবেদনে প্রকাশ, শাহিদ খানের মেয়ে শান্নার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার। আর সেই থেকে তিনি ১২৩ কোটি টাকা খরচ করেছেন হাসপাতাল, পশু স্বাস্থ্য এবং অনকোলজি প্রোগ্রামের জন্য। 

শান্না খান ১৯৮৬ সালে আমেরিকায় জন্মগ্রহণ করেন। পড়াশোনাও সেখানেই। সামাজিক কাজে সক্রিয় রয়েছেন তিনি। ওল্ফ পয়েন্ট অ্যাডভাইজার্সের এমডি জাস্টিন ম্যাককেবকে বিয়ে করেন। জাগুয়ার ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা চালানোর পাশাপাশি, শান্না খান ইউনাইটেড মার্কেটিং কোম্পানির একজন কর্ণধার এবং বেশ কয়েকটি বেসরকারি কোম্পানিতেও বিনিয়োগ করেছেন।

পাকিস্তানে অনেক ধনকুবের রয়েছে, তাঁদের মধ্যে সবথেকে বেশি টাকা-পয়সার মালিক শাহিদ। ১২ বিলিয়ন ডলার সম্পদের মালিক শাহিদ। তিনি ১৯৫০ সালে পাকিস্তানের লাহোরে জন্মগ্রহণ করেন এবং আমেরিকায় থাকেন। শহিদ খানের কোম্পানি 'ফ্লেক্স নিউ গেট' অটো মোবাইলের যন্ত্রাংশ তৈরি করে। আমেরিকা, ব্রাজিল, মেক্সিকো, চীন ও স্পেনসহ অনেক দেশে শাহিদ খানের কোম্পানির ৬২টি প্লান্ট রয়েছে। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও খুবই আকর্ষণীয়। এক সময় তিনি হোটেলের বাসন মাজতেন। তবে আজ অটো যন্ত্রাংশের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী তিনি। তাঁর কোম্পানির বার্ষিক লেনদেন প্রায় ৩৩ হাজার কোটি টাকা।

সেই দেশের অন্য ধনকুবেরদের মধ্যে রয়েছেন শাদরুদ্দিন হাসওয়ানি (প্রায় ৩.৪ বিলিয়ন ডলার)। এরপরই আসে নিশাত গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মিয়া মুহাম্মদ মানশার নাম। পাকিস্তানে করদাতাদের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন তিনি। তিনি মুসলিম কমার্শিয়াল ব্যাঙ্কের (MCB) মালিক। তারপর মুহাম্মদ মানশা। তিনি পাকিস্তানে বস্ত্র, সিমেন্ট এবং ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের খাতের একজন বড় ব্যবসায়ী। তিনি ২.৬ বিলিয়ন ডলারের মালিক। 

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement