ফের পাকিস্তানের বালুচিস্তানে জঙ্গিদের হামলা। ট্রেন হাইজ্যাকের পর এবার টার্গেট বাস। জানা গিয়েছে, একের পর এক বাস থামিয়ে ৯ জন যাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় একদল সশস্ত্র মুখোশধারী। এরপর গুলি করে খুন করা হয় ওই ৯ জনকে। উদ্ধার হয়েছে ৯টি দেহ। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বালুচিস্তানের দক্ষিণ পশ্চিম প্রান্তে।
ওই প্রান্তের প্রশাসনের মুখপাত্র শাহিদ রিন্দ জানিয়েছেন, একটি নয়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একদল সশস্ত্র মুখোশধারী একাধিক বাস আটকায়। সেখান থেকে ৯ জন যাত্রীকে অপহরণ করে তারা। সকলকেই নিকটবর্তী পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ৯ জনকে।
অন্য এক সরকারি আধিকারিক নাভেদ আলম বলেন, 'রাতভর তল্লাশি চালিয়ে ৯ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে পাহাড়ি এলাকা থেকে।'
এখনও পর্যন্ত এই হামলায় কোনও গোষ্ঠী দায়স্বীকার করেনি। তবে এই একই প্যাটার্নে অপহরণ, হামলার ঘটনা আগে চালিয়েছে বালোচ জঙ্গিরা। পূর্ব পঞ্জাব প্রদেশের নাগরিকদের এভাবে বেছে বেছে খুন করার নজির রয়েছে তাদেরই। ফলে অনুমান করা হচ্ছে, এবারের অপহরণ করে খুনের ঘটনার নেপথ্যেও রয়েছে বালোচ লিবারেশন আর্মিই।
বালুচিস্তান প্রায় দুই দশক ধরে অস্থিরতার মুখোমুখি হচ্ছে। স্থানীয় জাতিগত বালুচ গোষ্ঠী এবং দলগুলি পাকিস্তান সরকারকে প্রদেশের খনিজ সম্পদ শোষণের অভিযোগ এনেছে। সম্প্রতি, বালুচ বিদ্রোহীরা পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি মারাত্মক হামলা চালিয়েছে।
এর আগে পাকিস্তানে ট্রেন হাইজ্যাক করেছিল বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি। সেটি ছিল যাত্রীবাহী জাফর এক্সপ্রেস। প্রথমে ট্রেনটিকে লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এরপর ট্রেন থেমে গেলে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির সদস্যরা ট্রেনে চাপে।মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে একাধিক যাত্রীকে পরপর ট্রেন থেকে নামিয়ে আনে তারা। যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন পাকিস্তানি সেনা আধিকারিকরাও। প্রায় দু'তিন দিন ধরে বালোচ লিবারেশন আর্মির সঙ্গে লড়াই চলে পাক সেনার। মুক্ত করা হয় তিন শতাধিক যাত্রীকে। তবে জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণও হারান বহু সংখ্যক যাত্রী।