হিজবুল্লার ওপরে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল। যদিও লেবাননে এই হামলা চালাতে গিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর পোস্টে গোলাগুলি চালিয়েছে ইজরায়েলের বাহিনী। আর তার পরেই এনিয়ে সরব হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ৩৪টি দেশ এই হামলায় বিষয়টি নিয়ে যৌথ বিবৃতি জারি করেছে। ভারতও তাতে সমর্থন দিয়েছে। লেবাননে রাষ্ট্রসঙ্ঘের অন্তর্বর্তী বাহিনীর (ইউএনআইএফআইএল) সুরক্ষার বিষয়ে সর্বোচ্চ বলে জানিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারত শান্তিরক্ষীদের সুরক্ষার ওপর জোর দিয়েছে। ভারত বলেছে, শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বর্তমান ইউএনএসসি রেজোলিউশন অনুযায়ী নিশ্চিত করা আবশ্যক।
৬০০ ভারতীয় সেনা লেবাননে রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে রয়েছেন। ইজরায়েল-লেবানন সীমান্তে ১২০ কিলোমিটার ব্লু লাইন বরাবর রয়েছেন তাঁরা। লেবাননে রাষ্ট্রসঙ্ঘের অন্তর্বর্তী বাহিনী (ইউএনআইএফআইএল) শনিবার একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে যে তাদের নাকোরা সদর দফতরে একজন শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ শান্তিরক্ষীর স্থানীয় হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে এবং এখন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
শুক্রবার ইজরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) স্বীকার করেছে যে তাদের সেনারা নাকোরায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর পোস্টে গুলি চালিয়েছে। যার কারণে দুই শ্রীলঙ্কার দু'জন শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। আইডিএফ এই বিষয়ে তদন্তের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। এর একদিন আগেই ইজরায়েলি ট্যাঙ্ক থেকে গুলি ছোড়ার কারণে টাওয়ার থেকে পড়ে গিয়ে দুই ইন্দোনেশিয়ান সেনা আহত হন। ফ্রান্স, ইতালি এবং স্পেন যৌথভাবে ইজরায়েলের এই হামলার নিন্দা করেছে এবং তাদের কাজকে অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছে। শ্রীলঙ্কার বিদেশ মন্ত্রকও এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে। রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর এক কর্তা ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে হামলা চালানোর অভিযোগ তুলেছেন।
ইজরায়েল-লেবানন সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েছে। কারণ ইজরায়েলি বাহিনী হিজবুল্লার আগ্রাসনের জবাবে দক্ষিণ লেবাননে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। আইডিএফ জানিয়েছে যে শুক্রবার লেবানন থেকে উত্তর ইজরায়েলে ১০০টিরও বেশি রকেট ছোড়া হয়েছে। অনেক ড্রোনও ইজরায়েলের আকাশসীমা অতিক্রম করে।