গাজার ত্রাণকেন্দ্রে এলোপাথাড়ি গুলি ইজরায়েলের,নিহত কমপক্ষে ৩০, আহত শতাধিকদক্ষিণ গাজার রাফায় আমেরিকান সাহায্যপ্রাপ্ত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইজরায়েলি বাহিনীর গুলিবর্ষণে কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছে এবং ১১৫ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। ভোরে হাজার হাজার প্যালেস্তাইনের নাগরিক যখন ত্রাণ পেতে ওই কেন্দ্রের কাছে জড়ো হয়েছিলেন তখন এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় একজন সাংবাদিক জানিয়েছেন যে ইজরায়েলি ট্যাঙ্ক জনতার উপর এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েছে। মৃত ও আহতদের মৃতদেহ ঘটনাস্থল থেকে গাধার গাড়ি করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যা এই অঞ্চলের ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির প্রতিফলন। এই ঘটনাকে গণহত্যা বলে অভিহিত করেছেন হামাস। তারা আরও অভিযোগ করেছ যে ত্রাণ কেন্দ্রগুলি গণহত্যার ফাঁদ।
এদিকে, গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য মার্কিন প্রস্তাব হামাস মানেনি। তারা প্রস্তাবে সংশোধনীর দাবি জানিয়েছে। ইজরায়েল এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছিল। আলোচনার সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে হামাসের একজন কর্তা সংবাদ সংস্থা এপিকে বলেছেন যে প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলিতে 'আমেরিকান গ্যারান্টি, বন্দিদের মুক্তির সময়, মানবিক সহায়তা সরবরাহ এবং ইজরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের' উপর আলোকপাত করা হয়েছে। হামাসের পক্ষ থেকে একটি পৃথক বিবৃতিতে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজা থেকে ইজরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং মানবিক সাহায্যের প্রবাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
হামাস জানিয়েছে যে তারা নির্দিষ্ট সংখ্যক বন্দির বিনিময়ে ১০ জন জীবিত বন্দিকে মুক্তি দেবে এবং আরও ১৮ জনের মৃতদেহ ফিরিয়ে দেবে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের উপর হামলার সময় হামাস ২৫০ জনকে বন্দি করে। তাঁদের মধ্য়ে ৫৮ জন গাজায় জীবিত রয়েছেন। অন্যদিকে ইজরায়েলে মনে করে ৩৫ জন বন্দি মারা গিয়েছে। তবে, যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের খসড়ার রূপকার মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ হামাসের প্রতিক্রিয়াকে সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন যে মার্কিন প্রস্তাবে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি, জীবিত বন্দিদের মুক্তি এবং মৃতদের দেহ ফিরিয়ে দেওয়া অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।