'আমেরিকার গালে চড় মেরেছে ইরান', বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো বিবৃতি দেওয়ার সময় এই দাবি করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেই। তিনি আরও দাবি করেছেন যে যুদ্ধে ইজরায়েলকে হারিয়েছে ইরান। আমেরিকাকেও উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। মঙ্গলবার আমেরিকার মধ্যস্থতায় ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি কার্যকর হয়েছে।
আমেরিকা কেন হস্তক্ষেপ করেছিল?
খামেনি তাঁর ভাষণে আমেরিকাকেও আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, 'আমেরিকা কেবল হস্তক্ষেপ করেছিল কারণ তারা মনে করেছিল যে হস্তক্ষেপ না করলে ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থা (ইজরায়েল) সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাবে। এই যুদ্ধে আমেরিকার কোনও লাভ হয়নি।'
১৩ জুনের পর খামেনেইকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি
১৩ জুন ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই সর্বোচ্চ নেতা খামেনেইকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি। যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ইরানের পরমাণু ঘাঁটি, শীর্ষ সামরিক বিজ্ঞানী ও কর্তাদের ওপর ইজরায়েলের আক্রমণের মাধ্যমে। তারপর থেকে বলা হয় যে খামেনেই একটি গোপন স্থানে লুকিয়ে ছিলেন। যুদ্ধ-উত্তেজনার মধ্যেই তিনি একটি বিবৃতি জারি করেছিলেন। ১৯ জুন একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ হয়। যেটি খামেনেইর বাঙ্কার থেকে রেকর্ড করা হয়েছিল। এখন বৃহস্পতিবার তিনি আরেকটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন। যা ইতিমধ্যেই ইরানের সরকারি চ্যানেল এবং তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে প্রকাশ করা হয়েছে। এই ভিডিওতে, তিনি ইজরায়েলের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য নাগরিকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত যেখানে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র শত্রুদের একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে।
আমেরিকার গালে চড়
ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু সাইটগুলিতে মার্কিন বিমান হামলা সম্পর্কেও কথা বলেছেন খামেনেই। তাঁর দাবি, এই হামলায় খুব বেশি ক্ষতি হয়নি এবং আমেরিকা খুব বেশি কিছু অর্জন করতে পারেনি। তিনি বলেছেন, 'মার্কিন শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিজয়ের জন্য আমার অভিনন্দন। মার্কিন শাসনব্যবস্থা সরাসরি যুদ্ধে প্রবেশ করেছিল। কারণ তারা মনে করেছিল যে যদি তা না হয়, তাহলে ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাবে। তারা সেই শাসনব্যবস্থাকে বাঁচানোর প্রচেষ্টায় যুদ্ধে প্রবেশ করেছিল কিন্তু কিছুই অর্জন করতে পারেনি।'