ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা খামেনেইকে বরাবর হুমকি দিয়েছে ইজরায়েল। ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালিয়েছে খোদ আমেরিকা। যুদ্ধের মধ্যে প্রাণনাশের সম্ভাবনা বেড়েছে খামেনেইর।
এই পরিস্থিতিতে মাছিও গলতে পারবে না এমন বাঙ্কারে রাখা হয়েছে তাঁকে। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে একটি এলিট নিরাপত্তা বাহিনী। যাদের একমাত্র কাজ দেশের প্রধানের নিশ্ছিন্দ্র নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা।
ইউকে টেলিগ্রাফকে তেহরান জানিয়েছে, দেশের অভ্যন্তরেও বিদ্রোহের মুখে পড়তে পারে খামেনেই প্রশাসন। ইতিমধ্যেই কেউ কেউ পরিবর্তনের ডাক দিয়েছে। সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে। ঘরের শত্রুরা যাতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, সেটাও নজরে রাখা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, খামেনেইয়ের শাসনকালে ইজরায়েলি গোয়েন্দাদের অনুপ্রবেশ বেড়েছে ইরানে। তা নিয়ে ওয়াকিবহাল প্রশাসন। সেই জন্য তাঁর পাহারার দায়িত্বে যারা রয়েছে, সেই দলের সব তথ্য গোপন রাখা হয়েছে। এমনকী ইউনিটকে ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের শীর্ষ কর্মকর্তারাও তা জানেন না।
একজন ইরানি কর্মকর্তা এর আগে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন,' খামেনেইয়ের প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে। যে কোনও সময় তাঁর উপর হামলা হতে পারে। সেজন্য তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে কারা ছিলেন তা নিয়ে শীর্ষ আধিকারিকদের কাছেও তথ্য ছিল না।'
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, ২১ জুন আমেরিকার ইরানে হামলার আগে বাঙ্কারে ছিলেন না খামেনেই। তবে হামলার পরে অবস্থা বদলে যায়। খামেনেইয়ের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়। বাঙ্কারে আশ্রয় নেন তিনি। সমস্ত রকম ইলেকট্রনিক্স যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। ঘনিষ্ঠদের সঙ্গেও কথাবার্তা বলছেন না। তবে তিনিই কৌশল তৈরি করছেন। এমন গোপন ডেরায় রয়েছেন যে, তাঁকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল হবে।