Jaffar Express-Bla : '৫০ থেকে ৬০ জন পাকিস্তানি জওয়ানকে মরতে দেখলাম', PAK সরকারের পর্দাফাঁস করল অপহৃত

বেলুচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক হওয়ার ঘটনায় নয়া মোড়। পাকিস্তান আর্মি দাবি করেছে, তারা বালোচ লিবারেশন আর্মির সদস্যদের হত্যা করে বন্দীদের মুক্ত করেছে। অন্যদিকে BLA-এর অভিযোগ, তাদের কাছে এখনও পণবন্দী রয়েছে ১৫০ জন। 

Advertisement
 '৫০ থেকে ৬০ জন পাকিস্তানি জওয়ানকে মরতে দেখলাম', PAK সরকারের পর্দাফাঁস করল অপহৃত Jaffar Express
হাইলাইটস
  • বেলুচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক হওয়ার ঘটনায় নয়া মোড়
  • এক পঞ্জাবি সৈনিক উদ্ধার হওয়ার পর দাবি করলেন,
  • তিনি নিজের চোখে পাকিস্তানি জওয়ানদের মরতে দেখেছেন

বেলুচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক হওয়ার ঘটনায় নয়া মোড়। পাকিস্তান আর্মি দাবি করেছে, তারা বালোচ লিবারেশন আর্মির সদস্যদের হত্যা করে বন্দীদের মুক্ত করেছে। অন্যদিকে BLA-এর অভিযোগ, তাদের কাছে এখনও পণবন্দী রয়েছে ১৫০ জন। 

পাকিস্তান আর্মি দাবি করেছে, তারা ৩৩ জন বালোচ লিবারেশন আর্মির সদস্যকে নিকেশ করেছে। তাদের এটা বড় সাফল্য। তবে এরইমধ্যে সামনে এল একটি ভিডিও। অপহৃত এক পঞ্জাবি সৈনিক উদ্ধার হওয়ার পর দাবি করে বসলেন, তিনি নিজের চোখে পাকিস্তানি জওয়ানদের মরতে দেখেছেন। ৫০ থেকে ৬০ জনকে হত্যা করেছে বালোচ লিবারেশন আর্মি। এই ভিডিও সামনে আসার পর অনেকে বলাবলি শুরু করেছেন, পাকিস্তান পণবন্দীদের উদ্ধারের যে তত্ত্ব সামনে এনেছিল তা আসলে মিথ্যা। সত্যকে চাপা দেওয়ার জন্য তারা বিশ্বের কাছে এই মিথ্যা ছড়াচ্ছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছে দ্যা বোলান নিউজ। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিএলএ যোদ্ধারা তাদের সামনেই ৫০ থেকে ৬০ জন পাকিস্তানি জওয়ানকে হত্যা করেছে। 

প্রতিবেদনে প্রকাশ, ট্রেনে মোট ৪৪০ জন যাত্রী ছিল। বিএলএ যোদ্ধারা যখন ট্রেন দখল করতে আসে তখনই ২১ জন মারা যায়। তাদের মধ্যে ৪ জন সেনা সদস্যও ছিল। এরপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী অভিযান চালায়। দুশো পণবন্দীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় তারা। তার আগে বুধবার বিএলএ দেড়শো পণবন্দীকে মুক্তি দেয়। 

উদ্ধার অভিযান নিয়ে কী বলল পাকিস্তান? পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আহমেদ শরিফ চৌধুরি বলেন, 'আমরা মহিলা ও শিশুসহ পণবন্দী হওয়া বিপুল সংখ্যক মানুষকে উদ্ধার করেছি। বিএলএর কবল থেকে ২১২ যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই অভিযানে, ২১ অপহৃত মারা গেছে। ৩৩ জন বিদ্রোহীকে খতম করা হয়েছে।' 

বিএলএ কিভাবে হামলা চালায়? মঙ্গলবার সকাল ৯টা নাগাদ পাকিস্তানের কোয়েটা থেকে পেশোয়ারের উদ্দেশে ছেড়ে যায় জাফর এক্সপ্রেস। এই ট্রেনটি সিব্বি পৌঁছানোর কথা ছিল দুপুর দেড়টায়। তবে বোলানের মাশফাক টানেলে হামলার ঘটনা ঘটে। যে জায়গা দিয়ে ট্রেনটি যাচ্ছিল সেটি পাহাড়ি এলাকা। এখানে ১৭ টি টানেল রয়েছে, যার কারণে ট্রেনের গতি কমিয়ে আনতে হয়েছিল। সেই সুযোগ নিয়ে বিএলএ মাশফাকের ৪ নম্বর টানেল উড়িয়ে দেয়। ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয় এবং হাইজ্যাক করা হয়।  

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement