'মিডিয়ার সঙ্গে হাসিনার কথা বলা বন্ধ করুন', দিল্লিকে অনুরোধ ইউনূস সরকারেরশেখ হাসিনাকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ দেওয়া নিয়ে আপত্তি তুলল বাংলাদেশের মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার পবন ভাদেকে ডেকে পাঠিয়ে এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলির সঙ্গে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগাযোগের বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তারা। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বাসস (বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা) অনুসারে, ভারত সরকারের কাছে অবিলম্বে হাসিনার মিডিয়া অ্যাক্সেস বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। গত বছরের অগাস্টে ছাত্র আন্দোলনের জেরে ক্ষমতাচ্যুত হন ৭৮ বছরের শেখ হাসিনা। ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আসেন তিনি। তখন থেকে এখানেই বসবাস করছেন।
বাংলাদেশ সরকারের বক্তব্য শেখ হাসিনা একজন পলাতক আসামি। তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাজা ঘোষণা করবে। এমন একজনকে মিডিয়ায় মুখ খুলতে দেওয়া ঠিক নয়। যদিও শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগের সমর্থকরা দাবি করেছেন যে হাসিনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যা সহ বিভিন্ন অভিযোগে হাসিনা বাংলাদেশে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন।
গত কয়েকদিনে, হাসিনা বেশ কয়েকটি নামকরা আন্তর্জাতিক ও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এই সাক্ষাৎকারগুলিতে তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং এর প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের উপর তীব্র আক্রমণ চালিয়েছেন এবং আওয়ামী লিগ সমর্থকদের উজ্জীবিত করেছেন। আর তারপরেই বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক শেখ হাসিনার মিডিয়া অ্যাক্সেস অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে। বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি কাউকে আশ্রয় দেওয়া এবং বাংলাদেশে ঘৃণা ছড়িয়ে দেওয়ার এবং সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের পক্ষে সমর্থন করার জন্য তাঁকে একটি প্ল্যাটফর্ম দেওয়া দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য ভাল নয়। শেখ হাসিনার বক্তব্য দেশে অস্থিতিশীলতা বাড়াতে পারে। অবিলম্বে শেখ হাসিনার সংবাদমাধ্যমে কথা বলা বন্ধের বিষয়ে নয়াদিল্লিকে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।'