শেখ হাসিনাশেখ হাসিনাকে ফিরে পেতে আশা ছাড়ছে না বাংলাদেশ। বুধবার আরও একবার সেই কথা মনে করালেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেন। তিনি জানান, একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত আনতে বাংলাদেশ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। তবে, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে আনা যাবে কিনা, তা শেষ পর্যন্ত নির্ভর করবে ভারতেরই সিদ্ধান্তের উপর।
আজ, বুধবার বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন এ কথা জানান। তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনাকে ঢাকায় ফেরত পাঠাতে আমরা ভারতকে রাজি করানোর চেষ্টা চালিয়ে যাব।'
উল্লেখ্য, শনিবারই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা বিশেষ পরিস্থিতিতে ভারতে এসেছেন। তিনি ফিরবেন কিনা তা একান্তই তাঁর সিদ্ধান্তের উপরই নির্ভর করবে। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত মূলত হাসিনার নিজের।
অন্যদিকে,হাসিনার তৃতীয় কোনও দেশে আশ্রয় নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা, সে বিষয়ে সাংবাদিকদের বলতে গিয়ে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের উপদেষ্টা জানান, এ বিষয়ে কূটনৈতিক চ্যানেলে কোনও নির্ভরযোগ্য তথ্য তারা পাননি। কিন্তু হাসিনাকে বাংলাদেশে আনা যাবে কিনা, তা শেষ পর্যন্ত নির্ভর করবে ভারতেরই সিদ্ধান্তের উপর, একথার মাধ্যমে স্পষ্ট বিষয়টি নিয়ে নয়াদিল্লির সামনে কার্যত আত্মসমর্পণ করছে ঢাকা।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে আশ্রয় গ্রহণ করেন হাসিনা। পরে ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। রায় ঘোষণার পর বাংলাদেশ সরকার হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য নয়াদিল্লির কাছে অনুরোধ করে। তবে ভারত জানিয়েছে, এই অনুরোধ নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, হাসিনা দাবি করেছেন, "এটি একটি গণতান্ত্রিক বৈধতা ছাড়া অ-নির্বাচিত সরকার। সেই সরকার গঠিত ও পরিচালিত একটি “কারচুপি করা ট্রাইব্যুনাল” এই রায় দিয়েছে।"