পাকিস্তানের স্কুলে বিস্ফোরণ। খাইবার পাখতুনখাওয়ার একটি বেসরকারি স্কুল বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল বলে খবর।
মোটামুটি ৪ পড়ুয়া এই বিস্ফোরণের ফলে আহত বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি খাইবার জেলার জামরুদ তেহসিলে ঘটেছে। এই জায়গাটি আফগানিস্তান সীমান্তে অবস্থিত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্র স্কুলে আসার সময় খেলানার আকারের একটি বোমা দেখতে পায়। সে কিছু না বুঝেই সেটি হাতে তুলে নেয়। স্কুলে চলে আসে। তার পর যখনই পুতুলটি মাটিতে ফেলে, তখনই বিস্ফোরণ ঘটে।
আহত ছাত্রদের তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতাল
এই হামলায় ৪ পড়ুয়া আহত হয়েছে বলে খবর। আর তাদের দ্রুত স্থানীয় পেশোয়ারের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এলাকা ঘিরে ফেলেছে পুলিশ
ইতিমধ্যেই সেই এলাকাটা ঘিরে ফেলেছে সুরক্ষাবাহিনী। তাদের তরফে সেখানে সার্চ অপারেশন করা হচ্ছে। স্কুলে আরও বোমা লুকানো থাকতে পারে বলে মনে করছে তারা। আর সেগুলি খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে।
পিটিআই সূত্রে খবর, স্থানীয় অফিশিয়ালরা এই ধরনের ঘটনা নিয়ে চিন্তিত। তারা মনে করেন, বারবার এই ধরনের ঘটনা ঘটে যাওয়া আদতে সেখানকার সাধারণ মানুষ ও বাচ্চাদের জীবন বিপন্ন করে তুলছে।
এর পিছনে কারা?
এই বিস্ফোরণের পিছনে কে বা কারা রয়েছে, সেই সম্পর্কে এখনও জানা যায়নি। পুলিশি তদন্ত চলছে। তার মাধ্যমেই আগামিদিনে সব সত্য সামনে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে
এ দিকে পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে বিরাট বিড়াম্বনায় পড়েছে সে দেশের সরকার। সেখানে রোজ হচ্ছে নিত্যনতুন বিদ্রোহ। সেই বিদ্রোহে অনেক নাগরিকের প্রাণও গিয়েছে।
এর উপর আবার কাশ্মীর আন্দোলনের ঢেউ এসে পড়ে ইসলামাবাদ প্রেস ক্লাবে। সেখানে সাংবাদিকরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল। আর তাদের উপরই ঝাঁপিয়ে পড়ে পুলিশ। বেধড়ক মারধোর করা হয়। পাশাপাশি ভেঙে ফেলা হয় সাংবাদিকদের সরঞ্জাম।
আর এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সবপক্ষ। সাংবাদিক থেকে শুরু করে মানবাধিকারকর্মীরা এর বিরুদ্ধে শোচ্চার হয়।
তাই সবমিলিয়ে যে একাবারেই শান্তিতে নেই পাকিস্তান, এই কথা বলাই বাহুল্য!