US 50 Percent Tariff: '৫০ শতাংশ শুল্ক তুলে নেওয়া হোক...' আমেরিকার পার্লামেন্টে ভারতের পক্ষে উঠল আওয়াজ

আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে রেখেছেন। আর এই শুল্ক চাপানোর নীতি নিয়ে নিজের দেশেই চাপের মুখে ট্রাম্প। এই শুল্কের বিরুদ্ধে ৩ ডেমোক্রেটিক সাংসদ সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন ট্রাম্পের দিকে। আমেরিকার হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ সদস্য দেবরা রস (নর্থ ক্যারোলিনা), মার্ক ভিজি (টেক্সাস) এবং রাজা কৃষ্ণমূর্তি (ইলিনইজ) এক প্রস্তাব পেশ করে রাষ্ট্রীয় আপৎকাল ঘোষণা তুলে নেওয়ার দাবি করেছেন। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় আপৎকাল ঘোষণা করেই ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিল ট্রাম্প। আর সেই ঘোষণাই তুলে নেওয়ার আবেদন সামনে এল।

Advertisement
'৫০ শতাংশ শুল্ক তুলে নেওয়া হোক...' আমেরিকার পার্লামেন্টে ভারতের পক্ষে উঠল আওয়াজআমেরিকার ৫০ শতাংশ ট্যারিফ
হাইলাইটস
  • আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে রেখেছেন
  • এই শুল্ক চাপানোর নীতি নিয়ে নিজের দেশেই চাপের মুখে ট্রাম্প
  • এই শুল্কের বিরুদ্ধে ৩ ডেমোক্রেটিক সাংসদ সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন ট্রাম্পের দিকে

আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে রেখেছেন। আর এই শুল্ক চাপানোর নীতি নিয়ে নিজের দেশেই চাপের মুখে ট্রাম্প। এই শুল্কের বিরুদ্ধে ৩ ডেমোক্রেটিক সাংসদ সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন ট্রাম্পের দিকে। আমেরিকার হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ সদস্য দেবরা রস (নর্থ ক্যারোলিনা), মার্ক ভিজি (টেক্সাস) এবং রাজা কৃষ্ণমূর্তি (ইলিনইজ) এক প্রস্তাব পেশ করে রাষ্ট্রীয় আপৎকাল ঘোষণা তুলে নেওয়ার দাবি করেছেন। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় আপৎকাল ঘোষণা করেই ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিল ট্রাম্প। আর সেই ঘোষণাই তুলে নেওয়ার আবেদন সামনে এল।

এই তিনজন একত্রে মিলে একটি বক্তব্য রাখেন। তাঁদের কথা অনুযায়ী, 'এই শুল্ক বেআইনি, আমেরিকার স্বার্থ বিরোধী, সবথেকে বেশি সমস্যায় ফেলছে সাধারণ আমেরিকানদের। এর ফলে সব জিনিসেই শুল্ক বসছে।'

আসলে ১ অগাস্ট ২০২৫ ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছিল। তারপর আবার রাশিয়ার থেকে তেল কেনার অপরাধে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক চাপান আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। যার ফলে ভারতের উপর মোট শুল্ক গিয়ে দাঁড়ায় ৫০ শতাংশ। এর ফলে আমেরিকায় ভারতীয় জিনিসের দাম এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যায়। কমে এ দেশ থেকে রপ্তানি। আর তাতে আদতে আমেরিকার সাধারণ মানুষেরই ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করছেন এই তিন ডেমোক্রেটিক সাংসদ।

কী বললেন দেবরা রস?

'নর্থ ক্যারেলিনার অর্থনীতি অনেকটাই ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত। ভারতীয় সংস্থারা এখানে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। তৈরি করেছে অসংখ্য চাকরি। এই শুল্ক বসানোর ফলে আদতে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে।'

কী বললেন মার্ক ভিজি?

'এই বেআইনি শুল্ক নর্থ টেক্সাসের মানুষদের সমস্যায় ফেলছে। ভারত হল আমাদের সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক এবং স্ট্র্যাজেটিক সঙ্গী।'

রাজা কী বললেন?

'সাপ্লাই চেনের সমস্যা তৈরি করছে এই শুল্ক। আমেরিকার কর্মচারীদের সমস্যায় ফেলছে এবং কনজিউমারদের পকেটের ডাকাতি করেছে। শুল্ক তুলে নিলে আমেরিকা এবং ভারতের অর্থনীতি এবং নিরাপত্তাজনিত সংযোগ বাড়বে।'

Advertisement

এই প্রসঙ্গে বলে রাখি, এখনও ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প। এরপর আবার ভারতের চালের উপরও তিনি ট্র্যারিফ বসাতে পারেন বলে ঘোষণা করে রেখেছেন। আর এমন পরিস্থিতিতে ভারত এবং আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কথা চলছে। সেই চুক্তি হয়ে গেলেই সমস্যার অবসান হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

POST A COMMENT
Advertisement