ক্যান্সার! এই শব্দটি শুনলেই মুখ শুকনো হয়ে যায়। শরীরে যেন হিমস্রোত বয়। আতঙ্কের এই রোগই এখন গোটা বিশ্বের অন্যতম মাথাব্যথা। যে রোগের আদতে কোনও ওষুধ নেই। তবে হ্যাঁ, ক্যান্সার রোগীদের জন্য ইদানীং নানা অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে, যার সাহায্যে অনেকেই এই মারণরোগকে হারিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছেন। তবুও ক্যান্সারকে ঘিরে ভীতি কাটেনি। এমন প্রেক্ষাপটে বছর শেষের আগে ক্যান্সারের ভ্যাকসিন তৈরির দাবি করে বিশ্বে শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাশিয়া। পুতিনের দেশ দাবি করেছে, ক্যান্সারের প্রতিষেধক তৈরি করেছে তারা।
ক্যান্সারের টিকা
রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা ক্যান্সারের টিকা বানিয়েছে। ২০২৫ সাল থেকেই এই প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হবে।
তবে কি এবার ক্যান্সার নির্মূল হবে?
ক্যান্সারের ভ্যাকসিন নিয়ে খানিকটা আশার আলো দেখালেও এখনও অনেক প্রশ্ন থাকছেই। রাশিয়া জানিয়েছে, এই ভ্যাকসিন নিলেই যে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা হবে, তা কিন্তু নয়। যাঁরা ক্যান্সারে আক্রান্ত হবেন, তাঁদেরকেই এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ফলে, ক্যান্সার রুখতে আগাম এই ভ্যাকসিন কাজে লাগবে না।
কোন ক্যান্সারের জন্য এই ভ্যাকসিন?
রাশিয়ার তৈরি এই ভ্যাকসিন কি সব ক্যান্সার নিরাময়ে কার্যকরী হবে? না কি কোনও নির্দিষ্ট ক্যান্সারের জন্য তৈরি করা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট করেনি রাশিয়া। এ-ও স্পষ্ট নয়, এই টিকার কার্যকারিতা ঠিক কতখানি।
রাশিয়ায় ফ্রিতে মিলবে এই টিকা
রাশিয়া জানিয়েছে, সে দেশের রোগীদের জন্য বিনামূল্যে দেওয়া হবে এই টিকা। পাশাপাশি, বিশ্বের অন্যত্রও সরবরাহ করা হবে এই ভ্যাকসিন। তবে সেক্ষেত্রে বিনামূল্যে কি না অথবা কত টাকা লাগবে, তা এখনও জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, গত মে মাসে ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ৪ জন ক্যান্সার রোগীর উপর 'পার্সোনালাইজড ভ্যাকসিন' প্রয়োগ করেছিল। তাতে দেখা গিয়েছিল, টিকা নেওয়ার ২ দিনের মধ্যে ওই রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল।
ক্যান্সারের ভ্যাকসিন নিয়ে রাশিয়ার দাবি সত্য হলে, তা চিকিৎসা বিজ্ঞানে নিঃসন্দেহে বিরাট দিগন্ত খুলে যাবে। কারণ, ক্যান্সার এমন একটা রোগ, যার জেরে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। ফলে ভ্যাকসিন এলে মৃত্যু অনেকটাই ঠেকানো যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।