Lunar Eclipse 2023: ২০২৩ সালের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ ৫ মে, শুক্রবার ঘটবে। এর আগে এপ্রিল মাসে সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। এই গ্রহণ ৫ মে রাত ৮টা ৪৬ মিনিট শুরু হবে এবং মধ্যরাতের পরে ১টা ২০ মিনিটে শেষ হবে। এই গ্রহণ মোট ৪ ঘন্টা ১৮ মিনিট স্থায়ী হবে। এই গ্রহণটি এশিয়া, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব ইউরোপের কিছু অংশে দৃশ্যমান হবে।
সূর্যগ্রহণের পরেই ফের একবার সূর্য, চাঁদ এবং পৃথিবী এক সরলরেখায় চলে আসবে। যে কারণে, ৫ মে একটি বিরল চন্দ্রগ্রহণ ঘটবে। পৃথিবী সূর্য এবং চাঁদের মাঝখানে চলে আসায় চাঁদের পৃষ্ঠে পৃথিবী ছায়া পড়ে সম্পূর্ণ অন্ধকার করে দেবে।
এমপি বিড়লা প্ল্যানেটেরিয়ামের কর্মকর্তা শিল্পী গুপ্তা বলেন যে, যখন সূর্য-পৃথিবী-চাঁদ একট সরলরেখায় এবং একই সমতলে চলে এলে তখনই ঘটে পূর্ণিমার দিনে চন্দ্রগ্রহণ। তিনি বলেন, "সূর্য-পৃথিবী এবং পৃথিবী-চাঁদের সমতল ৫ ডিগ্রি কোণে একে অপরের দিকে ঝুঁকে থাকে। যখন দুটি কাল্পনিক সরলরেখা ছেদ করে (দুটি ছেদকারী বিন্দুকে নোড বলা হয়) এবং চাঁদ তখন বা তার খুব কাছাকাছি থাকে। এই সময় পূর্ণিমার দিনে গ্রহণ ঘটে।"
আরও পড়ুন: বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ আসছে, কোথায় কোথায় দেখা যাবে?
শিল্পী গুপ্তা বলেন যে, সূর্যের আলো পৃথিবীতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি একটি ছায়া ফেলে যা চাঁদের কক্ষপথে প্রসারিত হয়। চাঁদ তার কক্ষপথে চলার সময় যখন পৃথিবীর ছায়ায় প্রবেশ করে, তখন গ্রহণ ঘটে।
কেন ৫ মে-র চন্দ্রগ্রহণ বিরল?
৫ মে-র চন্দ্রগ্রহণ প্রাকৃতিক ভাবে পেনাম্ব্রাল (Penumbral) বা উপচ্ছায়া তৈর্ করছে। তাই একে পেনাম্ব্রাল লুনার এক্লিপ্স বলা হচ্ছে। চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ তার কক্ষপথে পৃথিবীর প্রচ্ছায়ার মধ্যে দিয়ে যাবে। কারণে এটি লালচে রঙের দেখায়। ওই সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল সূর্যালোক ছড়িয়ে পড়ার কারণে চাঁদে প্রতিফলিত হয়ে এটিকে লালচে আভায় ভরিয়ে দেবে।
এদিকে, একটি পেনমব্রাল গ্রহণের সময়, চাঁদ পৃথিবীর ছায়ার মধ্য দিয়ে যায় না এবং তাই লাল হয়ে যায় না। পরিবর্তে, এটি উপচ্ছায়া মধ্য দিয়ে যাবে, যা পৃথিবীর ছায়ায় অন্ধকারে ঢেকে যাবে।