Japan-China Clash : জাপানের বিরুদ্ধে একজোট চিন-রাশিয়া, পরমাণু অস্ত্র বহনকারী বিমান পাঠালেন পুতিন

বিশ্বজুড়ে ফের বাড়ছে উত্তেজনা। এবার জাপানের বিরুদ্ধে চিনের সঙ্গে জোট বাঁধল রাশিয়া। ভারত সফরে যখন পুতিন এসেছিলেন তখনই এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুই দেশ চিন ও জাপানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছিল। ভারত থেকে মস্কো ফিরেই চিনের পাশে দাঁড়ালেন ভ্লাদিমির পুতিন।

Advertisement
জাপানের বিরুদ্ধে একজোট চিন-রাশিয়া, পরমাণু অস্ত্র বহনকারী বিমান পাঠালেন পুতিন চিনের পাশে রাশিয়া
হাইলাইটস
  • বিশ্বজুড়ে ফের বাড়ছে উত্তেজনা
  • এবার জাপানের বিরুদ্ধে চিনের সঙ্গে জোট বাঁধল রাশিয়া

বিশ্বজুড়ে ফের বাড়ছে উত্তেজনা। এবার জাপানের বিরুদ্ধে চিনের সঙ্গে জোট বাঁধল রাশিয়া। ভারত সফরে যখন পুতিন এসেছিলেন তখনই এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুই দেশ চিন ও জাপানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছিল। ভারত থেকে মস্কো ফিরেই চিনের পাশে দাঁড়ালেন ভ্লাদিমির পুতিন। চিনের সেনাকে সমর্থন করার জন্য পরমাণুস অস্ত্রও মোতায়েন করেছে পুতিন। 

চিনকে রাশিয়ার সমর্থন করার বিষয়টি সামনে এনেছে জাপান। সেই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, চিন ও জাপান যৌথভাবে জাপানের উপর টহলদারি দিচ্ছে। দুই দেশের সেনা একসঙ্গে কাজ করছে। দুটো রাশিয়ান Tu-95 পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম বোমারু বিমান জাপান সাগর থেকে উড়ে পূর্ব চিন সাগরে পৌঁছেছে। সেখানে আগে থেকেই ছিল দুটো চিনা H-6 বোমারু বিমান। এরপর চারটি বিমান প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে যৌথ মহড়া চালায়। 

জাপান প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, চিন J-16 বিমানবাহিনী জাপানের ওকিনাওয়া এবং মিয়াকো দ্বীপপুঞ্জের মধ্যবর্তী মিয়াকো প্রণালী দিয়ে উড়ে গেছে। এই অঞ্চলটিকে আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে স্পর্শকাতর বলে বিবেচনা করা হয়। জাপানের সুরক্ষার দিক থেকেও এলাকাটি সংবেদনশীল। 

এদিকে বসে নেই জাপানও। তাদের তরফেও সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি বলেন, 'রাশিয়া ও চিনের যৌথ কার্যকলাপ জাপানের জন্য উদ্বেগের। ওই দুই দেশ আমাদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শন করছে। আমাদের তরফেও নজরদারি চালানো হচ্ছ।' 

পরিস্থিতি আরও সংবেদনশীল হয়ে ওঠে যখন দক্ষিণ কোরিয়াও নিশ্চিত করে যে, সাতটি রাশিয়ান এবং দুটো চিনা সামরিক বিমান তাদের অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। ফলে সেই অঞ্চলে উত্তেজনা বেড়েছে। 

কেন এমন উত্তেজনা? এর কারণ জাপানের প্রধানমন্ত্রীর একটি মন্তব্য। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছিলেন, চিন যদি তাইওয়ানের বিরুদ্ধে কোনও সামরিক পদক্ষেপ নেয়, তাতে যদি জাপানের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় তবে টোকিও চুপ করে বসে থাকবে না। 

প্রসঙ্গত, জাপান ও চিনের সংঘাত আজকের নয়। পুরোপুরি উপনিবেশে পরিণত না করলেও, প্রথম ও দ্বিতীয় চিন-জাপান যুদ্ধের (১৮৯৪-৯৫ এবং ১৯৩৭-৪৫) মাধ্যমে চিনের বিশাল অংশ, বিশেষত উত্তর-পূর্ব (মাঞ্চুরিয়া) ও উপকূলীয় অঞ্চল, দখল করে নেয় জাপানিরা। তখন তাইওয়ানও জাপানের উপনিবেশে ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানের দখলদারিত্ব শেষ হওয়ার পর চিন হারানো অঞ্চল ফিরে পায়। কিন্তু তাইওয়ান নিয়ে বিরোধ আজও বিদ্যমান। 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement