China offers to mediate for India-Pakistan: ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের সমাধানে গঠনমূলক ভূমিকা নিতে চায় চিন। শনিবার সেদেশের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।
চিন জানিয়েছে, গোটা পরিস্থিতি তারা পর্যবেক্ষণ করছে। ৭ মে ভারতের প্রত্যাঘাতের কথাও উল্লেখ করে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। সেদিনের হামলায় পাকিস্তান ও পাক দখলকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি লঞ্চপ্যাড লক্ষ্য করে আঘাত হানে ভারত। ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনার প্রত্যুত্তরে এই হামলা চালানো হয়।
এই প্রসঙ্গে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, 'ভারত ও পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।'
চিনের তরফে বলা হয়, 'আমরা উভয় পক্ষকেই অনুরোধ করছি, তারা যেন বৃহত্তর শান্তির স্বার্থে সংযত হয়, উত্তেজনা না বাড়িয়ে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথে ফিরে আসে। এটি শুধু ভারত ও পাকিস্তানই নয়, গোটা অঞ্চলের শান্তি রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক মহলও এটাই চায়। চিন এই লক্ষ্য অর্জনে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে ইচ্ছুক।'
নিজেদের দেশের নাগরিকদের জন্য সতর্কবার্তা
ভারত-পাকিস্তান পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এমন প্রেক্ষাপটে নিজেদের দেশের নাগরিকদের জন্য বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করল চিন।
চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, শুক্রবার ভারত ও পাকিস্তান চিনের দূতাবাসগুলি বিশেষ অ্যালার্ট জারি করে।নিজেদের সরকারি উইচ্যাট (চিনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম) অ্যাকাউন্টে এই সাধারণ মানুষের উদ্দেশে বার্তা দেওয়া হয়।
তাতে বলা হয়, যাঁরা ভারত বা পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন, তাঁরা যেন পরিস্থিতির উপর নজর রাখেন এবং ভ্রমণের সময় সতর্কতা অবলম্বন করেন।
পাশাপাশি, যাঁরা ইতিমধ্যেই ভারত বা পাকিস্তানে রয়েছেন, তাঁদের উদ্দেশে চিনা দূতাবাস নিজেদের সুরক্ষার বিষয়ে সচেতন থাকার সুপারিশ করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনের এই বার্তায় এটা স্পষ্ট যে, তারা ভারত-পাক উত্তেজনাকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। এর পাশাপাশি এই মুহূর্তে দুই দেশে থাকা নিজের নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাতে প্রাধান্য দিচ্ছে।