 চিনের বিরল খনিজ
চিনের বিরল খনিজভারতকে বিরল খনিজ দেবে চিন। বেজিংয়ের পক্ষ থেকে ৬ মাস পর আবার শুরু হল রপ্তানি। এর ফলে ভারতীয় একাধিক সংস্থার স্বস্তি বাড়ল বলে খবর।
তবে চিন কিন্তু এমনি এমনি ভারতকে এই খনিজ দিচ্ছে না। তার পরিবর্তে দেওয়া হয়েছে শর্ত। সেই শর্ত না মানলেই চিন আবার রপ্তানি বন্ধ করে দিতে পারে। কিন্তু আপাতত সেই বিষয়টা নিয়ে কিছু ভাবতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বিরল খনিজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার জন্য ভারতীয় সংস্থাগুলির থেকে ‘এন্ড-ইউজ়ার সার্টিফিকেট’ চেয়েছিল বেজিং। সেটা খতিয়ে দেখার পরই মিলল অনুমতি।
বিরল খনিজ রপ্তানিতে বিধিনিষেধ এনেছিল চিন
ইলেট্রনিক গাড়ি, ব্যাটারি, রিনিউবল পাওয়ার সহ একাধিক বৈদ্যুতিন যন্ত্রাংশ তৈরিতে লাগে বিরল খনিজ। তাই এই খনিজ সব দেশেরই প্রয়োজন। আর মুশকিল হল, সারা পৃথিবীতে সবথেকে বেশি বিরল খনিজ রপ্তানি করে চিন। তারা এক্ষেত্রে নম্বর ওয়ান। তাই তাদের উপর নির্ভর করে থাকে সব দেশ।
তবে সেই দেশই কিন্তু কয়েক মাস ধরে আর বিরল খনিজ রপ্তানি করতে চাইছিল না। এমনকী বেশ কিছু বাধনিষেধও আনা হয়। তারপরই আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শুরু হয়ে যায় সংঘাত। চিনের উপর শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প। যার ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ দিকে যেতে থাকে।
যদিও বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ায় বৈঠকে বসেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও শি জিনিপিং। তাঁরা নিজেদের মধ্যে করে ফেলেন সমঝোতা। তারপরই আমেরিকা চিনের উপর থেকে ১০ শতাংশ শুল্ক তুলে নেয়। উল্টে চিনও বিরল খনিজ সরবরাহ শুরু করবে বলে জানায়।
ভারতের জন্য আজ ভাল খবর
গতকাল ভাল খবর এসেছিল আমেরিকার জন্য। আর আজ চিন ভারতকে দারুণ খবর শোনাল। এর ফলে বৈদ্যুতিন যান, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি তৈরির কাজে জোয়ার আসবে। এতে বাড়তে পারে দেশের উৎপাদন। বাড়তে পারে দেশের আয়।
৪ সংস্থাকে করবে সরবরাহ
ভারতের চারটি কোম্পানিকে বিরল খনিজ সরবরাহ করবে চিন। সেই চার সংস্থা হল— হিতাচি, কন্টিনেন্টাল, জে-শিন এবং ডিই ডায়মন্ডস। তবে এই খনিজ যাতে আমেরিকায় না পাঠানো হয় এবং যাতে সামরিক ক্ষেত্রে ব্যবহার না করা হয়, সেটা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। নইলে বন্ধ করে দেওয়া হবে রপ্তানি। তাই এখন দেখার পরিস্থিতি ঠিক কোন দিকে যায়।