China COVID-19 Case Rising: চিনে (China) আবারও করোনা বিস্ফোরণের (COVID) পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে। কোভিডের কেস যে হারে বাড়ছে তাতে আতঙ্ক বাড়ছে অন্য দেশে। নভেম্বরে হঠাৎ করেই বেড়েছে করোনার ঘটনা। একদিনে ৩১,৪৪৪টি কেস মিলেছে। চিনের ন্যাশনাল হেলথ ব্যুরো অনুসারে, ১ নভেম্বর শুধুমাত্র ২,৮৭৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ২০১৯-এ উহানে মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে ২৩ নভেম্বর করোনার কেস রেকর্ড সর্বোচ্চে পৌঁছেছে।
সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে, ৩১,৪৫৪ জন করোনায় আক্রান্ত। অর্থাৎ চিনে ২৩ দিনে প্রায় ১১ গুণ বেড়েছে সংক্রমণের ঘটনা। চিনের জনসংখ্যার ৯৩ শতাংশ টিকা পেয়েছে, তারপরও এই পরিস্থিতি।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে চিনে প্রতিদিন গড়ে ২১,৯৯৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এই পরিসংখ্যানগুলি যদি তার আগের সপ্তাহের সঙ্গে তুলনা করা হয়, তাহলে দেখা যাবে গত সপ্তাহে চিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৪৮ শতাংশ বেড়েছে। যদিও মৃত্যু সংখ্যা কমই।
বেইজিংয়ের সবচেয়ে জনবহুল চাওয়াং জেলায় সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়ছে করোনা। প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন জনসংখ্যার এই জেলাটি লকডাউনের দিকে এগোচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে লোকজনকে বাড়িতে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। খুব জরুরি কাজ হলেই ঘর থেকে বেরোনোর আবেদন জানানো হয়েছে।
চিনে করোনার সামান্য কেস পাওয়ার পরেও পুরো শহরে লকডাউন জারি করা হয়। সংক্রমিত ব্যক্তি এবং তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের কঠোর কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এই শূন্য কোভিড নীতির নিয়ে চরম ক্ষোভ রয়েছে। তারা রাজপথে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।