অবিরাম বৃষ্টির কারণে বন্যা ও ধসে নেপালে মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে ১১২ জনের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। তবে, বেসরকারি তরফে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি। ১০০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছেন। ৬৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন। রাজধানী কাঠমাণ্ডু লাগোয়া নদীগুলিও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। যার কারণে কাঠমাণ্ডুতেও বন্যা হয়েছে।
নেপালের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অথরিটির মুখপাত্র বসন্ত অধিকারী বলেছেন, কর্তৃপক্ষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার ও ত্রাণ দিতে কাজ করছে। হেলিকপ্টার ও মোটরবোটের সাহায্যে উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য তিন হাজারের বেশি নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। উদ্ধারকারী দলগুলো র্যাফট ব্যবহার করে মানুষজনকে নিরাপদে নিয়ে আসছে। ধসের কারণে বেশ কয়েকটি রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। নেপাল পুলিশের মতে, সারা দেশে ৬৩টি স্থানে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে ধসের কারণে।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে কাঠমাণ্ডু থেকে সমস্ত অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। কমপক্ষে ১৫০টি বিমান বাতিল করা হয়েছে। সমস্ত স্কুল তিন দিনের জন্য বন্ধ রাখার এবং সমস্ত পরীক্ষা স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। পুলিশ জানিয়েছে, কাঠমাণ্ডুতে ২২৬টি বাড়ি তলিয়ে গেছে এবং নেপাল পুলিশের প্রায় ৩০০০ নিরাপত্তাকর্মীর একটি উদ্ধারকারী দল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ মুখপাত্র দান বাহাদুর কারকি বলেছেন, কর্তৃপক্ষ ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে এবং রাস্তাগুলি পুনরায় চালু করার জন্য কাজ করছে যেখানে ভূমিধসের কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।