scorecardresearch
 

China Population Crisis: এক সন্তান নীতির চরম ফল! চিনে বন্ধ হাজার-হাজার কিন্ডারগার্টেন, আসছে কঠিন সময়

জন্মহার ব্যাপক হ্রাস পাওয়ায় চিনের হাজার হাজার কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে গেছে। চিনের শিক্ষা মন্ত্রকের বার্ষিক প্রতিবেদনে এমনই চাঞ্চল্যকর রিপোর্টের উল্লেখ করা হয়েছে। ২০২৩ সালে সেদেশে ১৪,৮০৮টি কিন্ডারগার্টেনে তালা পড়ে গিয়েছে। কারণ- শিশুর সংখ্যা এতই কমে গিয়েছে যে, কেউ ভর্তিই হচ্ছে না। এই নিয়ে টানা দুই বছর এমনই পরিস্থিতি।

Advertisement
চিনে পড়ুয়ার অভাবে ক্রমেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বহু কিন্ডারগার্টেন স্কুল। চিনে পড়ুয়ার অভাবে ক্রমেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বহু কিন্ডারগার্টেন স্কুল।
হাইলাইটস
  • জন্মহার ব্যাপক হ্রাস পাওয়ায় চিনের হাজার হাজার কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে গেছে।
  • চিনের শিক্ষা মন্ত্রকের বার্ষিক প্রতিবেদনে এমনই চাঞ্চল্যকর রিপোর্টের উল্লেখ করা হয়েছে।
  • ২০২৩ সালে সেদেশে ১৪,৮০৮টি কিন্ডারগার্টেনে তালা পড়ে গিয়েছে।

China birth rate: জন্মহারে ব্যাপক হ্রাস। চিনে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হাজার-হাজার কিন্ডারগার্টেন। সেদেশের শিক্ষা মন্ত্রকের বার্ষিক প্রতিবেদনে এমনই চাঞ্চল্যকর রিপোর্টের উল্লেখ করা হয়েছে। ২০২৩ সালে সেদেশে ১৪,৮০৮টি কিন্ডারগার্টেনে তালা পড়ে গিয়েছে। কারণ- শিশুর সংখ্যা এতই কমে গিয়েছে যে, কেউ ভর্তিই হচ্ছে না। এই নিয়ে টানা দুই বছর এমন পরিস্থিতি।

২০২৩ চিনে শিশুর সংখ্যা তার আগের বছরের তুলনায় ৫৩.৫ লাখ কমে গিয়েছে। মোট শিশুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৯ লাখে। প্রাইমারি স্কুলেও প্রভাব পড়ছে। এক বছরে ৫,৬৪৫টি প্রাইমারি স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

জন্মহার ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে, প্রবীণ জনসংখ্যা বাড়ছে

আরও পড়ুন

২০২৩ সালে চিনের জনসংখ্যা টানা দ্বিতীয় বছর কমেছে। বর্তমান সংখ্যা ১৪০ কোটি। এই এক বছরে চিনে মাত্র ৯০ লাখ জন্ম রেজিস্টার্ড হয়েছে। ১৯৪৯ সাল থেকে এটিই সর্বনিম্ন।

জন্মহার ও ফার্টিলিটি হ্রাসের পাশাপাশি, সেদেশে প্রবীণ জনগোষ্ঠীও দ্রুত বাড়ছে। ২০২৩ সালের শেষে ৬০ বা তার বেশি বয়সী প্রায় ৩০ কোটি মানুষ ছিলেন চিনে। ২০৩৫ সালেই সেটা ৪০ কোটি এবং ২০৫০ সালে ৫০ কোটিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এমনই হিসাব চিনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা শিনহুয়ার।

একসময় শিশুদের জন্য বরাদ্দ থাকা কিন্ডারগার্টেনের একটি বড় অংশ এখন প্রবীণদের হেলথ কেয়ার বা ছোটখাটো বৃদ্ধাশ্রমের ব্যবসায় নামছে। একসন্তান নীতির প্রভাবেই মূলত প্রবীণদের সংখ্যা বাড়ছে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই গোটা পরিস্থিতির কারণে চিনা সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর চাপ বাড়ছে। অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

সংকট মোকাবিলায় নীতিগত পরিবর্তন

চিনের এই জনসংখ্যা সংকটের জন্য একসময়ে বহুল চর্চিত 'একসন্তান নীতি'কে দায়ী করা হচ্ছে। এটি ২০১৬ সালে তুলে দেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালে পরিবারপ্রতি তিনটি সন্তানের অনুমতি দেওয়া হলেও বেশি সন্তান নিলে খরচও বেশি। তাই দম্পতিরা নিজেরাই বেশি-বেশি সন্তান চান না।

Advertisement

প্রবীণ সেবা ও পেনশন খরচ বৃদ্ধির কারণে চিন সম্প্রতি অবসর গ্রহণের বয়স বাড়িয়েছে। এখন পুরুষদের জন্য অবসরের বয়স ৬০ থেকে বেড়ে ৬৩ এবং নারী কর্মীদের জন্য ৫৫ থেকে বেড়ে ৫৮ হয়েছে। এদিকে, ২০২১ সালের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ শতাংশ পরিবারের শিশুর জন্য চাইল্ডকেয়ার সেবা প্রয়োজন হলেও মাত্র ৫.৫ শতাংশ পরিবার সেই সুবিধা পাচ্ছে।

চিন একটি সংকুচিত এবং বৃদ্ধ জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্র করে বিবাহ সহজতর করা ও বিবাহবিচ্ছেদ কঠিন করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

Advertisement