NOTIFICATIONS
23rd Dec
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। ফাইল ছবি 
এবার ডিফফেকের শিকার ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। বেশ কয়েকটি ভিডিওতে তাঁর মুখ ব্যবহার করে অ্যাডাল্ট সাইটে আপলোড করার অভিযোগ উঠেছে। আমেরিকার একটি ওয়েবসাইটে সেগুলো ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ সেই ভিডিওগুলো দেখেছেন। এই ঘটনায় অপরাধীদের শাস্তির পাশাপাশি ১ লক্ষ ইউরো ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন মেলোনি।
বিবিসি সূত্রে খবর, ইটালির প্রধানমন্ত্রীর আধিকারিক দাবি করেছেন, এক পর্ণ অভিনেতার সঙ্গে মেলোনির ডিফফেক ভিডিও বানিয়ে আমেরিকার একটি অ্যাডাল্ট সাইটে আপলোড করা হয়েছিল। মাসের পর মাস ধরে সেগুলোতে লক্ষ লক্ষ ভিউ হয়েছে। ২০২২ সালে ইটালির প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেছিলেন মেলোনি। অভিযোগ, তারও আগে মেলোনির মুখ ব্যবহার করে ভিডিও বানিয়ে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি বিষয়টি তাঁদের নজরে আসে। এর পরই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। আদালতের দ্বারস্থ হন মেলোনি।
মেলোনির ২ জুলাই সাসারির একটি আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে। তদন্ত চলছে। তারা কথিত ভিডিওতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্র অভিনেতার সঙ্গে মেলোনির মুখ অদলবদল করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই প্রাপ্তবয়স্কদের ভিডিও আপলোড করার জন্য ব্যবহৃত মোবাইল ডিভাইসটি ট্রেস করে কর্তৃপক্ষ সন্দেহভাজনদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।
মেলোনির আইনজীবী মারফত জানা গেছে, উল্লিখিত ভিডিওগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছিল। যেখানে তারা কয়েক মাস ধরে "মিলিয়ন ভিউ" পেয়েছে। মেলোনির প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী মারিয়া গিউলিয়া মারোঙ্গিউ প্রধানমন্ত্রীর দাবিকৃত ক্ষতিপূরণকে 'প্রতীকী' বলে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন যে যদি মঞ্জুর করা হয় তবে তিনি পুরুষ সহিংসতার শিকার নারীদের সহায়তার জন্য একটি তহবিলে অর্থ দান করবেন।
ভারতে, রশ্মিকা মান্দান্না, ক্যাটরিনা কাইফ, নোরা ফাতেহি এবং অন্যান্য সহ বলিউড অভিনেতাদের বেশ কয়েকটি ডিপফেক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়েছিল। গতবছর নভেম্বরে, রশ্মিকা মান্দান্নার একটি ডিপফেক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। ভিডিওটিতে ব্রিটিশ-ভারতীয় ইনফ্লুয়েন্সার জারা প্যাটেলের মুখ দেখানো হয়েছে। একটি কালো টপ পরা, যেটি এডিট করা হয়েছিল। এবং বলিউড অভিনেতার মুখে প্রতিস্থাপিত হয়েছিল। জানুয়ারিতে দিল্লি পুলিশ অন্ধ্র প্রদেশের একজন বি-টেক স্নাতককে গ্রেপ্তার করেছিল যে ভিডিওটি তৈরি করেছিল।
