Donald Trump: মোস্ট ওয়ান্টেড আল-কায়েদা জঙ্গি এখন রাষ্ট্রপ্রধান, ট্রাম্প দেখা করে 'মুগ্ধ', বিদেশনীতিই বদলে গেল আমেরিকার

সম্প্রতি সৌদি আরবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি আহমেদ আল-শারার সাক্ষাৎ এবং করমর্দনের ছবি গোটা বিশ্বে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। কারণ, এই সেই আল-শারা, যাকে কিছুদিন আগেও ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল আমেরিকা, এবং যার মাথার জন্য ১০ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।

Advertisement
মোস্ট ওয়ান্টেড আল-কায়েদা জঙ্গি এখন রাষ্ট্রপ্রধান, ট্রাম্প দেখা করে 'মুগ্ধ', বিদেশনীতিই বদলে গেল আমেরিকারডোনাল্ড ট্রাম্প।-ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • সম্প্রতি সৌদি আরবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি আহমেদ আল-শারার সাক্ষাৎ এবং করমর্দনের ছবি গোটা বিশ্বে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

সম্প্রতি সৌদি আরবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি আহমেদ আল-শারার সাক্ষাৎ এবং করমর্দনের ছবি গোটা বিশ্বে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। কারণ, এই সেই আল-শারা, যাকে কিছুদিন আগেও ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল আমেরিকা, এবং যার মাথার জন্য ১০ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।

সন্ত্রাসবাদী থেকে রাষ্ট্রপ্রধান—আল-শারার উত্থান
আহমেদ আল-শারা, যিনি একসময় আবু মোহাম্মদ আল-জুলানি নামে পরিচিত ছিলেন, কট্টর ইসলামপন্থী সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শামের (HTS) প্রতিষ্ঠাতা। ২০১৩ সালে আমেরিকা তাকে ‘গ্লোবাল টেররিস্ট’ হিসেবে ঘোষণা করে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানো, হামলার পরিকল্পনা ও সহায়তার মতো একাধিক অভিযোগ ছিল।

কিন্তু ইতিহাস মোড় ঘোরাল। সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের ২৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে গেল মাত্র দুই সপ্তাহে। দামেস্ক দখল করে HTS বিদ্রোহীরা; এরপর অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি হন আল-শারা।

ট্রাম্পের অবস্থান বদল, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
এই ঘটনার পরেই আমেরিকা সিরিয়ার উপর থেকে ১৯৭৯ সাল থেকে জারি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যস্থতায় রিয়াদে ট্রাম্প ও শারার বৈঠক হয়।

এই বৈঠকে ট্রাম্প আহ্বান জানান, “সিরিয়ায় পরিবর্তন আনুন এবং ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করুন। ইতিহাস সৃষ্টির এই সুযোগ হাতছাড়া করবেন না।”

‘সন্ত্রাসী’ থেকে কূটনীতিক—আল-শারার অতীত
আল-শারার জন্ম সৌদি আরবের রিয়াদে, এরপর পরিবারের সাথে সিরিয়ার দামেস্কে চলে আসেন। কিশোর বয়সেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন হামলার পর আল-কায়েদায় যোগ দেন এবং আমেরিকান বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন।

২০১৬ সালে HTS গঠন করে আল-কায়েদা থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করেন। পরবর্তীকালে HTS নিজেই আল-কায়েদার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে।

যদিও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে
আন্তর্জাতিক মহলে এখন প্রশ্ন উঠছে—একসময়ের ‘সন্ত্রাসী’ আজ কিভাবে ‘রাষ্ট্রপ্রধান’ হিসেবে বৈধতা পাচ্ছেন? HTS-কে এখনো জাতিসংঘ ও আমেরিকা সন্ত্রাসী সংগঠন বলেই গণ্য করে। তবু আল-শারার সঙ্গে ট্রাম্পের করমর্দন বিশ্ব রাজনীতির এক নতুন অধ্যায়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement