Trump Meets Mamdani: 'ট্রাম্পকে ফ্যাসিস্ট মনে করেন?' মামদানিকে থামিয়ে নিজেই জবাব দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট

'কমিউনিস্ট মিটস ফ্যাসিস্ট'। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই হ্যাশট্যাগ দিয়েই ট্রেন্ড হচ্ছিল মামদানি ও ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসের বৈঠক। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কী জানালেন দুই নেতা?

Advertisement
'ট্রাম্পকে ফ্যাসিস্ট মনে করেন?' মামদানিকে থামিয়ে নিজেই জবাব দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট
হাইলাইটস
  • হোয়াইট হাউসে মুখোমুখি মামদানি ও ট্রাম্প
  • বৈঠক ঘিরে উত্তেজনা ছিল তুলে
  • মামদানির 'ফ্যাসিস্ট' মন্তব্য নিয়ে কী বললেন ট্রাম্প?

নিউ ইয়র্কের মেয়র পদে নির্বাচিত হয়ে আমেরিকায় যেন আরব বসন্ত এনেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত জোহরান মামদানি। তাঁকে 'কমিউনিস্ট' আখ্যা দিয়ে প্রথম থেকেই সমালোচনায় মুখর ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার মুখোমুখি হলেন তাঁরা। শুক্রবার ওভাল অফিসে দুই নেতার বৈঠক ঘিরে আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড শুরু হয়েছিল 'কমিউনিস্ট মিটস ফ্যাসিস্ট'। 

হোয়াইট হাউসের এই বৈঠকের দিকে নজর ছিল গোটা বিশ্বের। বৈঠক শেষে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'দুর্দান্ত ও ফলপ্রসূ হয়েছে।' এমনকী জোহরান মামদানির তাঁকে 'ফ্যাসিস্ট' বলে সম্বোধন করা নিয়েও আপত্তি নেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের। এর চেয়ে অনেক অপমানজনক মন্তব্য শুনতে হয়েছে তাঁকে, ফলে এটি এমন কিছুই নয় বলে জানান ট্রাম্প। 

জোহরান মামদানির জন্য হোয়াইট হাউসের গেটে অপেক্ষায় ছিলেন সাংবাদিকরা। তবে সে গেট দিয়ে ওভাল অফিসে প্রবেশ করেননি নিউ ইয়র্কের মেয়র। এতে জল্পনা বাড়তে শুরু করে। কিন্তু বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দুই নেতার কথোপকথন ছিল নজরকাড়া। ট্রাম্পকে 'স্বৈরাচারী' বলে উল্লেখ করেছিলেন জোহরান মামদানি। তাঁর সেই আগের মন্তব্য নিয়ে এদিন প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। মামদানি জবাব দেওয়ার আগেই ট্রাম্প হেসে বলে ওঠেন, 'ওহ কিছু নয়। ঠিক আছে। বলতেই পারেন। এতে আমার আপত্তি নেই। এটা বরং ব্যাখ্যা করার থেকে সহজ হবে।' পাল্টা হেসে মামদানি বলেন, 'হ্যাঁ, ঠিক আছে।'

মতাদর্শ সম্পূর্ণ ভিন্ন হলেও হোয়াইট হাউসের বৈঠকের পর একে অপরের প্রশংসা করতেই দেখা গেল নিউ ইয়র্কের মেয়র এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। ট্রাম্প বলেন, 'উনি যত ভাল কাজ করবেন, আমি তত খুশি হব। আমাদের মধ্যে একটি মিল রয়েছে। আমরা চাই আমাদের ভালোবাসার শহরের ভাল হোক।' এরপরই অনুজ রাজনীতিবিদকে তাঁর পরামর্শ, 'আরও নমনীয় হও। দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করো। সরকারি পদে যোগ দেওয়ার পর আমারও বেশ কিছু ভাবনায় পরিবর্তন এসেছে।'

এদিকে, জোহরান মামদানি বলেন, 'শুক্রবারের বৈঠকের অন্যতম বিষয় ছিল, স্থানীয় বাসিন্দাদের উপরে অর্থনৈতিক চাপ। ভাড়া সহ জিনিসপত্রের মূল্য সাশ্রয় করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।' নিউ ইয়র্কের মেয়রের দাবি, এই বৈঠক রাজনৈতিক আকচাআকচি বা একে অপরকে দোষারোপ করার জন্য ছিল না। এই সাক্ষাৎ ছিল জনগণের সেবা করার জন্য নিজেদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা এবং দু'জনের মধ্যে বোঝাপড়া। 

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement