Donald Trump: শীঘ্রই হবে পরমাণু পরীক্ষা, রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ বছরের ডিল ভেঙে বিরাট ঘোষণা ট্রাম্পের

চিন এবং রাশিয়া দ্রুত এগোচ্ছে। ৫ বছরের মধ্যে তাদের অস্ত্রের ভাণ্ডার আমেরিকার সমতুল্য হয়ে যাবে। এই আশঙ্কা এবার অবিলম্বে পরমাণু পরীক্ষার কথা ঘোষণা করে দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

Advertisement
শীঘ্রই হবে পরমাণু পরীক্ষা, রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ বছরের ডিল ভেঙে বিরাট ঘোষণা ট্রাম্পের
হাইলাইটস
  • পরমাণু পরীক্ষা হবে বলে ঘোষণা করলেন ট্রাম্প
  • রাশিয়া এবং চিন ৫ বছরের মধ্যে আমেরিকার সমতুল্য হবে
  • ৩০ বছরের স্থগিতাদের ভেঙে তাই তড়িঘড়ি নিউক্লিয়ার টেস্টের ঘোষণা

১৯৯২ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের সময় থেকে বিশ্বের দুই সুপারপাওয়ার একে অপরের উপর পরমানুণ পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ৩০ বছর পর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই স্থগিতাদেশ ভেঙে পরমাণু পরীক্ষার ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, অবিলম্বে পরমাণু পরীক্ষা শুরু করবে আমেরিকা। বড়সড় এই নীতি পরিবর্তনে আশঙ্কার মেঘ বিশ্বজুড়ে। 

রাশিয়া এবং চিন দ্রুত নিজেদের পরমাণুর ভাণ্ডার বৃদ্ধি করছে। তা সঙ্গে তাল মেলাতেই এই সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল ট্রুথ সোশ্যালে ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখেন, 'অন্য যে কোনও দেশের তুলনায় আমেরিকার কাছে সবচেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। রাশিয়া দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এবং চিন তৃতীয়। তবে ৫ বছরের মধ্যে তারা আমেরিকার সমতুল্য হয়ে উঠবে। অন্য দেশগুলি যেভাবে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করছে, আমিও নির্দেশ দিয়েছি যাতে পরমাণু অস্ত্র একই ভাবে পরীক্ষা শুরু হয়। খুব দ্রুতই সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে।' 

নিজের প্রথম টার্মে তিনি আমেরিকার অস্ত্র ভাণ্ডার ঢেলে সাজিয়েছিলেন বলেও ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর বক্তব্য, 'ধ্বংসাত্মক শক্তিগুলির মোকাবিলা করতেই আমাকে অস্ত্র ভাণ্ডার ঢেলে সাজাতে হয়েছিল। আমি একদম এ সব পছন্দ করি না, তা-ও করতে হয়েছে।'

বড়সড় নীতি পরিবর্তন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ঘোষণা ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর আমেরিকার প্রথম পরিকল্পিত পরমাণু পরীক্ষার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ১৯৯২ সাল থেকে ওয়াশিংটন তার অস্ত্রভাণ্ডারের নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতা বজায় রাখতে কমপিউটার সিমুলেশন এবং সাব-ক্রিটিক্যাল পরীক্ষার উপর নির্ভর করে আসছে। একই সঙ্গে পারমাণবিক বিস্ফোরণের উপর স্বেচ্ছা স্থগিতাদেশও মেনে চলছে। যদি এটি কার্যকর করা হয় তবে ট্রাম্পের এই নির্দেশ ঐতিহাসিক সংযম ভঙ্গের প্রতীক হবে, যা বিশ্বে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করতে পারে এবং ওয়াশিংটনের পরমাণু প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে।

Advertisement

বিশ্বজুড়ে আশঙ্কার মেঘ 
এই ঘোষণা এমন এক সময়ে করা হল যখন বিশ্বজুড়ে পরমাণু প্রতিযোগিতা ক্রমেই বাড়ছে। রাশিয়া সম্প্রতি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। চলতি মাসের শুরুতেই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেন, রাশিয়া সফলভাবে 'পোসাইডন' সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। এরপর ২১ অক্টোবর 'বুরেভেস্তনিক' পরমাণু ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা এবং কৌশলগত বাহিনী জড়িত একাধিক উৎক্ষেপণ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। অন্যদিকে, বেইজিং তার নিজস্ব অস্ত্র আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়া দ্রুততর করেছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৫ বছরের মধ্যেই চিন পরমাণু ক্ষমতাধারী রাষ্ট্র হিসেবে আমেরিকা ও রাশিয়ার সমপর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কৌশলগত সময়
চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে বৈঠক করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্ধারিত বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগে তাঁর এই পদক্ষেপের কৌশলগত ও প্রতীকী গুরুত্ব রয়েছে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। যদিও পেন্টাগন এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিরক্ষা দফতর এই সপ্তাহের শেষের দিকে সম্ভাব্য পরীক্ষাস্থল ও সময়সূচি জানাবে। 

 

POST A COMMENT
Advertisement