কথায় আছে না, 'দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মতো ফুলবি।' চিন-রাশিয়া আর উত্তর কোরিয়ার দোস্তি দেখে জ্বলে পুড়ে লুচির মতোই ফুলে গিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। SCO বৈঠকে দু'দিন আগেই নরেন্দ্র মোদী, ভ্লাদিমির পুতিন আর শি জিনপিংয়ের খোশগল্পে মজে ওঠার দৃশ্য হজম করতে হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার মধ্যেই আবার একইসঙ্গে দেখা গেল পুতিন, জিনপিং আর কিমকে। ঠিক যেমন বলা হত, 'গোটা ইউরোপ কমিউনিজমের ভূত দেখেছিল'। এবার যেন আমেরিকা সেই ভূত দেখছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক কারবারিরা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়্যারে আয়োজন করা হয় এক বর্ণাঢ্য সামরিক কুচকাওয়াজের। সেই অনুষ্ঠানেই শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। সেখানে ৩ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে একসঙ্গে দেখে চিড়বিড়ানি ধরেছে ট্রাম্পের। তা সত্ত্বেও রাগ চেপে চিনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই পাল্টি খেয়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে পুতিন-কিম আর জিনপিং ষড়যন্ত্র আঁটছেন বলে সরব হয়েছেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শি জিনপিংকে উদ্দেশ করে লেখেন, ‘দয়া করে ভ্লাদিমির পুতিন এবং কিম জং উনকে আমার উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়ে দেবেন। কারণ, আপনারা তো আমেরিকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।’
এদিকে, পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় রাশিয়াকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ‘বিজয়ী শক্তি’ হিসেবে বর্ণনা করেন জিনপিং। পাল্টা চিনকে আমেরিকার অবদানের কথাও মনে করিয়ে পোস্ট করেন ট্রাম্প। তিনি লেখেন, ‘চিনের প্রেসিডেন্ট শি কি উল্লেখ করবেন, চিনকে বিপুল পরিমাণ সমর্থন জুগিয়েছিল আমেরিকা এবং রক্তও ঝরিয়েছিল। আমেরিকা এগিয়ে এসেছিল, যাতে চিন অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ বিদেশি আক্রমণকারীর হাত থেকে তাদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারে । চিনের বিজয় ও গৌরবের কারণে অনেক আমেরিকানের মৃত্যু হয়েছে।’ ঠিক যেন পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।
তবে মস্কো-বেইজিং-পিয়ংইয়ং-এর ঘনিষ্ঠতায় কোনও অক্ষ তৈরির সম্ভাবনা তিনি দেখছেন না বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথায়, 'আমি মোটেও উদ্বিগ্ন নই। আমাদের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বাহিনী আছে। ওরা চোখ তুলে দেখার সাহসও করবে না।'