ফোনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। লাউডস্পিকারে দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামনে বসে ইলন মাস্ক। যেন পুরনো বন্ধুদের মধ্যে আড্ডার আসর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে শুরু থেকেই ট্রাম্পের পাশে ছিলেন মাস্ক। আর এবার জয়লাভের পরেও সঙ্গী তিনি। ফোনে জেলেনস্কির সঙ্গে কথার সময়েও পাশে থাকলেন টেসলা কর্তা।
প্রায় ৭ মিনিট ধরে আলোচনা
রিপোর্ট বলছে, প্রায় ৭ মিনিট ধরে ট্রাম্প-জেলেনস্কির কথা হয়। ইলন মাস্কের সঙ্গে তাঁর বাসভবন মার-আ-লাগোতে ছিলেন ট্রাম্প। ফোন আসতেই সেটা স্পিকারে দিয়ে দেন নবনিযুক্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এরপর কথা বলেন ইলন মাস্কও। উল্লেখ্য, এর আগে ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের সময়ও জেলেনস্কিকে সাপোর্ট করেছিলেন ইলন। নিজের ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার স্টারলিঙ্ক চালু করে দিয়েছিলেন ইউক্রেনে।
সেকথা মনে রেখেছেন জেলেনস্কি। রাশিয়ার সঙ্গে লড়াইয়ে ইউক্রেনকে ইন্টারনেট দিয়ে সাহায্য করার জন্য ইলন মাস্ককে ধন্যবাদ জানান তিনি।
এদিন মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানাতেই ফোন করেছিলেন জেলেনস্কি। নীতি বা কিছু নিয়ে এদিন আলোচনা হয়নি। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় জেলেনস্কি পোস্ট করে লেখেন, 'বুধবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করেছিলাম। তাঁর জয়ের জন্য় অভিবাদন জানিয়েছি।'
যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে আছে ইউক্রেন। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেন অনেকাংশেই পশ্চিমী দেশগুলির সাহায্যের উপর নির্ভরশীল। এদিকে শুরু থেকেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের লড়াইয়ে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা করার বিরোধিতা করে এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
প্রেসিডেন্ট হিসাবে রিপাবলিকান দলের পদপ্রার্থী হওয়ার পর প্রথম ভাষণেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সরাসরি জেলেনস্কিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন। তাঁকে ভাল 'সেলসম্যান' বলেও সমালোচনা করেন। বাইডেন প্রশাসনকে তুলোধনা করে বলেছিলেন, 'আমেরিকার মানুষের করের টাকা দিয়ে অন্য় দেশকে যুদ্ধে সাহায্য করা হচ্ছে। বরং সেটা নিজেদের উপর ব্যয় করা উচিত।'