ইজরায়েলে যেন আজ উৎসবের দিন। আর সেই উৎসবের মধ্যমণি ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজা যুদ্ধবিরতি ও হামাসের হাতে আটক বন্দিদের মুক্তিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সোমবার ইজরায়েলের সংসদ ‘কনেসেট’ এ ট্রাম্প পৌঁছাতেই, গোটা সংসদ ফেটে পড়ল হাততালিতে।
ট্রাম্প মঞ্চে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই উঠে দাঁড়ান সকল সাংসদরা। প্রায় আড়াই মিনিট ধরে হাততালি দেন। রাজনীতির জগতে এমন স্বতঃস্ফূর্ত উচ্ছ্বাস সত্যিই দেখা যায় না। পুরো সময়টাই ট্রাম্পের পাশে ছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সংসদজুড়ে শুধুই 'বিবি, বিবি, ট্রাম্র, ট্রাম্প!' উচ্ছাস।
ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর টিমের অন্যান্য সদস্যরাও ছিলেন। জ্যারেড কুশনার, মার্কো রুবিও, পিট হেগসেথ, মাইক হাকাবি... সবাইকে একে একে পরিচয় করিয়ে দেন কনেসেটের স্পিকার আমির ওহানা। তাঁদের নাম ঘোষণার পরও উঠে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানাতে দেখা যায় সাংসদদের।
এরপরই ট্রাম্পের উদ্দেশে বক্তব্য শুরু করেন নেতানিয়াহু। বলেন, '৭ অক্টোবরের সেই ভয়াবহ দিন আমরা কখনও ভুলব না। ওই রাক্ষসগুলো আমাদের সন্তানদের কেড়ে নিয়েছিল।' এরপর ট্রাম্পের উদ্দেশে নেতানিয়াহু বলেন, 'মিস্টার প্রেসিডেন্ট, আমরা একত্রে শান্তি ফিরিয়ে আনব। এর আগেও, ঠিক এভাবেই আমরা আব্রাহাম চুক্তির সময় একসঙ্গে কাজ করেছিলাম।'
এদিন ট্রাম্পকে ইজরায়েলের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত করেন নেতানিয়াহু। সেই পুরস্কার তুলে দিতে দিতে তিনি বলেন, 'এই মানুষটি একদিন নোবেল শান্তি পুরস্কারও পাবেন, একটু দেরিতে হলেও একদিন না একদিন ঠিক পাবেন।'
এর আগে একান্ত বৈঠকে ট্রাম্পকে একটি সোনার পায়রা উপহার দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু। ইজরায়েলে এই পায়রা আসলে শান্তির প্রতীক ‘গোল্ডেন পিস পিজন’।
ট্রাম্পের এই সফরে খুশি ইজরায়েলের মানুষও। গাজার যুদ্ধে বিরতি ও বন্দিমুক্তির পর অবশেষে তাঁদের দেশে শান্তির হাওয়া বইতে শুরু করেছে।