বাণিজ্য নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৫০ শতাংশ শুল্কের কথা ঘোষণার পর নয়াদিল্লির উপর আরও চাপ বাড়াচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের সাফ কথা, যতক্ষণ পর্যন্ত না ফয়সালা হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনও আলোচনা নয়।
ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। এই পদক্ষেপের পর ফের হুঁশিয়ারির সুর শোনা গিয়েছে ট্রাম্পের গলায়। বলেছেন, 'সবে তো ৮ ঘণ্টা হয়েছে। দেখুন কী হয়।' আরও নিষেধাজ্ঞা চাপানো হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, 'আপনারা অনেক কিছু দেখতে পাবেন। আরও অনেক বিধিনিষেধ দেখতে পাবেন।'
প্রসঙ্গত, ভারতের উপর প্রথমে ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপায় আমেরিকা। ১ অগাস্ট থেকে ভারতকে ২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে বলে জানানো হয়। রাশিয়ার থেকে সামরিক সরঞ্জাম, তেল কেনার কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যের কারণেই 'শাস্তি' স্বরূপ ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এরপরে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। সবমিলিয়ে ভারতের উপর শুল্কের পরিমাণ ৫০ শতাংশ। যা ২৭ অগাস্ট থেকে কার্যকর করা হবে। তারপরে ফের যেভাবে হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প, তা এই পর্বে নতুন মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করা হচ্ছে।
ট্রাম্পের এহেন পদক্ষেপের পাল্টা সরব হয়েছে নয়াদিল্লি। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক সংক্রান্ত ঘোষণা অন্যায্য। সেই সঙ্গে ভারত জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ করবে বলেও মনে করিয়ে দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী,'সাম্প্রতিককালে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানিকে নিশানা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমরা ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছি। আমাদের তেল আমদানি বাজার-ভিত্তিক। এর মূল লক্ষ্য হল ১৪০ কোটি ভারতীয়ের জন্য জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা'।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। ভারত কখনই কৃষক, মৎস্যজীবী এবং ডেয়ারি শিল্পের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না। বলেছেন, 'আমি জানি এর জন্য বড় মূল্য চোকাতে হবে। আমি এর জন্য প্রস্তুত। ভারত এর জন্য প্রস্তুত...।'