গাজা শান্তি সম্মেলনে অনুপস্থিত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে তাতে কী! তাঁর বন্ধু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তো রয়েছেন। তিনিই সোমবার বন্ধু মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। পাশাপাশি এ দিন তিনি ভারত এবং পাকিস্তান যে একসঙ্গে শান্তিতে ভাল দিন কাটাবে, সেটাও ঘোষণা করে দেন। শুধু তাই নয়, এই কথা বলার পরই তিনি স্টেজের পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের দিকে ঘুরে তাকান। তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, 'এমনটাই হবে তো?' আর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সেই প্রশ্নের উত্তরে 'বিনয়ী শিশুর' মতো মতো মাথা নাড়তে দেখা যায় শেহবাজকে।
আর এই ঘটনাতেই উপস্থিত সকলে হেসে ওঠেন। এমনকী ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিয়ো।
তবে হাসির কথা বাদ দিলেও ট্রাম্পের এই নয়া বার্তাকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনেতার মাঝে দাঁড়িয়ে মোদীর প্রশংসা বিশেষভাবে ইঙ্গিতবাহী। এটা আদতে মোদী-ট্রাম্পের বন্ধুত্বের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব ঘুচে যাওয়ার বার্তা। যেটা আদতে ভারতের পক্ষে সুখকর।
কী বলেন ট্রাম্প?
এ দিন গাজা শান্তি সম্মেলনে নিজের বক্তৃতা রাখছিলেন ট্রাম্প। তখনই হেসে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, 'ভারত এক মহান দেশ যেখানে আমার খুব ভালো বন্ধু রাষ্ট প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন। এবং তিনি দারুণ কাজ করছেন। আমার মনে হয় পাকিস্তান এবং ভারত একসঙ্গে মিলে ভালোভাবে থাকবে।'
তিনি আরও জানান, আঞ্চলিক শান্তি বজায় রাখতে চাইলে ভালো বন্ধুদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তার পর তিনি শেহবাজ শরিফের দিকে তাকিয়ে বলেন, 'উনি এটা সম্ভব করবেন, করবেন না?'
ট্রাম্পের প্রশংসা করেন শরিফ
এ দিন নিজের বক্তব্যে ট্রাম্পের ভূয়সী প্রশংসা করেন শেহবাজ শরিফ। তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলা যুদ্ধ যাতে পরমাণু যুদ্ধতে না পরিণত হয়, সেটা নিশ্চিত করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ দেন। তিনি বলেন, 'এই মানুষটি যদি সেই ৪ দিনের যুদ্ধের মধ্যে হস্তপেক্ষ না করতেন, তাহলে দুই পরমাণু শক্তিধর দেশ এমন অবস্থার মধ্যে চলে যেত, যেখানে পরিস্থিতি বলার জন্যও হয়তো কেউ বেঁচে থাকত না।'
তবে তাঁর এহেন প্রশংসার পরও মোদীর কথা মনে রেখেছেন ট্রাম্প। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন। আর তাতেই জ্বলছে পাকিস্তান।
ভারতও রয়েছে এই সম্মেলনে
এই সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদী উপস্থিত নেই। তাঁর জায়গায় গিয়েছেন বিদেশপ্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং। এছাড়া বিদেশমন্ত্রকের তরফে গাজায় এই শান্তি প্রক্রিয়ার প্রশংসা করা হয়েছে। এর ফলে দীর্ঘকালীন শান্তি ফিরবে বলে মনে করেন তারা।