scorecardresearch
 

Donald Trump Shooter: মিলল আততায়ীর পরিচয়, ট্রাম্পের সভায় গুলি চালিয়েছিল ২০ বছরের এই যুবক

পরিচয় মিলল ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো আততায়ীর। তদন্তকারীদের প্রাথমিক বিবৃতি অনুযায়ী, আততায়ীর নাম টমাস ম্যাথিউ ক্রুক। বয়স ২০ বছর। বর্তমানে তার বিষয়ে আরও বিশদে জানতে তদন্ত চালাচ্ছেন সিক্রেট সার্ভিস ও FBI-এর গোয়েন্দারা। ঘটনার পরপরই ​​​​​​​বন্দুকধারী আততায়ীকে পাল্টা হামলা করে খতম করেছেন মার্কিন নিরাপত্তাকর্মীরা।  

Advertisement
Trump Trump

পরিচয় মিলল ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো আততায়ীর। তদন্তকারীদের প্রাথমিক বিবৃতি অনুযায়ী, আততায়ীর নাম টমাস ম্যাথিউ ক্রুক। বয়স ২০ বছর। বর্তমানে তার বিষয়ে আরও বিশদে জানতে তদন্ত চালাচ্ছেন সিক্রেট সার্ভিস ও FBI-এর গোয়েন্দারা। ঘটনার পরপরই বন্দুকধারী আততায়ীকে পাল্টা হামলা করে খতম করেছেন মার্কিন নিরাপত্তাকর্মীরা।  

শনিবার পেনসিলভানিয়ার বাটলারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী সভা চলছিল। সেই সময় এক উঁচু স্থান থেকে গুলি চালায় টমাস ম্যাথিউ ক্রুক নামের ওই যুবক। সৌভাগ্যবশত, ট্রাম্পের ডান কান ভেদ করে গুলি চলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পোডিয়ামের আড়ালে লুকিয়ে পড়েন। তাঁকে ঘিরে ধরেন সিক্রেট সার্ভিসের দেহরক্ষীরা। যদিও এর পরেও গুলি চালাতে থাকে আততায়ী। এই ঘটনায় ট্রাম্পের সভায় আসা এক রিপাবলিকান সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত আরও এক পার্টি কর্মী। প্রাক্তন US প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, ভাগ্যের জোরে রক্ষা পেয়েছেন তিনি।

হামলাকারীর পরিচয়

আততায়ীর নাম টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস, পেনসিলভানিয়ার বেথেল পার্কের ২০ বছর বয়সী যুবক। বেথেল পার্ক বাটলারের প্রায় ৪০ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত। ঘটনাস্থল থেকে একটি AR-15 সেমি-অটোমেটিক রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে। সম্ভবত এই অস্ত্র দিয়েই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে গুলি চালিয়েছিল ওই যুবক। ইউএস সিক্রেট সার্ভিসের পাল্টা জবাবে হামলাকারী মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

ডোনাল্ড ট্রাম্প পিএ সমাবেশে যে গুলি চালিয়েছিল সন্দেহভাজন

আরও পড়ুন

ট্রাম্প যে মঞ্চ থেকে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন সেখান থেকে প্রায় ১২০ মিটার দূরে একটি কারখানার ছাদে দাঁড়িয়ে ছিল বন্দুকধারী। সেখান থেকেই ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বাটলার ফার্ম শোগ্রাউন্ডে ডোনাল্ড ট্রাম্প খোলা মঞ্চে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

এদিন ঘটনার পর ট্রাম্প উঠে দাঁড়াতেই দেখা যায় তাঁর গালে ফিনকি দিয়ে রক্তের দাগ। নিরাপত্তা রক্ষীদের বেষ্টনী থেকে হাত বাড়িয়েই ইঙ্গিত করলেন, 'ঠিক আছি, সাহস রাখো।' মুষ্টিবদ্ধ হাতের সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ঘটনার পরপরই ট্রাম্পকে ঘিরে ধরে বের করে নিয়ে যান সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা। তাঁকে এরপর সভামঞ্চের কাছেই রাখা বুলেটপ্রুফ SUV-তে তুলে নেওয়া হয়। নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা হয় প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের।

Advertisement

ট্রাম্প নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে জানিয়েছেন, 'আমি সঙ্গে সঙ্গেই বুঝতে পেরেছিলাম যে কিছু একটা হয়েছে। গুলির শব্দ শুনতে পেলাম এবং বুলেটটা আমার কানের চামড়া ভেদ করে চলে গেল। প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।'

দ্রুত প্রতিক্রিয়ার জন্য সিক্রেট সার্ভিসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। এর পাশাপাশি নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। জো বাইডেনের মুখোমুখি লড়বেন ট্রাম্প। তার ঠিক চার মাসের আগের এই ঘটনা যে নির্বাচনে যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

Advertisement