ফের নিশানায় ডোনাল্ড ট্রাম্প? এবার ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির সমাবেশের বাইরেই ধরা পড়ল বন্ধুকধারী। আর তার জেরেই এবার জোরালো হচ্ছে জল্পনা। 'কেউ বা কারা এগুলো করছে?' প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকে।
পেনসিলভেনিয়ায় ট্রাম্পের কান ফুটো করে বুলেট বেরিয়ে যায়। তার রেশ এখনও কাটেনি। এরই মধ্যে সোমবার মিলওয়াকিতে রিপাবলিকান পার্টির সম্মেলনস্থলের কাছে একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করলেন নিরাপত্তা কর্মীরা। ওই ব্যক্তির মুখোশ ছিল। সঙ্গে একটি AK-47 রাইফেল ছিল।
মিলওয়াকিতে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনের আয়োজন করা হয়েছে। এই সম্মেলনে, ট্রাম্প রিপাবলিকান পার্টি থেকে আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী নির্বাচিত হন। আর সেই কনভেনশন ভেন্যু থেকেই ২১ বছরের এই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মিলওয়াকিতে ফিসার ফোরামের কাছে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে সোমবার সন্দেহভাজন কনভেনশনে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। তখনই তাঁকে ক্যাপিটল পুলিশ অফিসার এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বাধা দেয়।
ফক্স নিউজের রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই যুবকের পোশাক দেখেই নিরাপত্তা রক্ষীদের সন্দেহ হয়। ওই ব্যক্তি মুখে স্কি মাস্ক পরে ছিলেন। সেটা অনেকটা বাঙালিদের হনুমান টুপির মতো। খালি মুখ আর চোখের জায়গাটা খোলা। সঙ্গে একটি বড় ব্যাগ ছিল। ব্যাগ তল্লাশি করতে সেখান থেকে একে-৪৭ রাইফেল ও গুলি পাওয়া যায়।
সন্দেহভাজন একজনকে গুলি করেছে পুলিশ
মিলওয়াকিতে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনের কাছে একজন সন্দেহভাজনকে গুলি করেছে পুলিশ। কনভেনশন ভেন্যুর চারপাশে টহল দেওয়ার সময়, পুলিশ এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দেখে। তার হাতে একটি ছুরি ছিল। পুলিশ তাকে ছুরি ফেলে দিতে বললেও সে অগ্রাহ্য করে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ তাকে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ এই ঘটনার একটি বডিক্যাম ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তির হাতে দু'টি ছুরি রয়েছে। পুলিশের বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও সে ছুড়ি ফেলেনি। বরং অপর এক ব্যক্তির উপর হামলা করতে যায়। ফলে বাধ্য হয়ে গুলি চালায় পুলিশ।