Nobel Peace Prize: 'ওবামা পেলে আমি কেন নয়?' নোবেল পেতে মরিয়া ট্রাম্প, যুদ্ধও গোনালেন

ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি, বারাক ওবামা কিছু না করেই নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ৮টি যুদ্ধ থামিয়েছেন, তাহলে তিনি কেন পাবেন না? তবে কি সত্যিই শুক্রবার নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতে পারেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট?

Advertisement
'ওবামা পেলে আমি কেন নয়?' নোবেল পেতে মরিয়া ট্রাম্প, যুদ্ধও গোনালেননোবেল শান্তি পুরস্কার পাবেন ট্রাম্প?
হাইলাইটস
  • নোবেল চাইছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট
  • বারাক ওবামা কিছু না করেই পুরস্কার জিতেছেন বলে দাবি
  • সত্যিই শুক্রবার নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতে পারেন ট্রাম্প?

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। শুক্রবার দুপুর ২টো ৩০ মিনিটে ঘোষিত হবে চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ীর নাম। ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার কি ডোনাল্ড ট্রাম্পই পাচ্ছেন? জল্পনা চলছে বিশ্বজুড়ে। তার মাঝেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করলেন, 'বারাক ওবামা যদি কিছু না করেই নোবেল পেতে পারেন, তবে আমি কেন নয়? উনি আমাদের দেশ ধ্বংস রেছেন। উনি ভাল প্রেসিডেন্ট ছিলেনও না। আমি তো ৮টা যুদ্ধ থামিয়েছি!'

নোবেল চাই ট্রাম্পের 
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের 'অবদান' তুলে ধরেন। গাজা সহ ৮টি যুদ্ধ থামিয়েছেন বলে দাবি করেন। প্রেসিডেন্ট পদে বসার কয়েক মাসের মধ্যেই ওবামা কেন নোবেল শান্তি পুরস্কার জমিতেছিলেন, সেই নিয়ে ক্ষোভও উগরে দেন ট্রাম্প। 

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'ওবামা একটা শান্তি পুরস্কার পেয়ে গেল কিছু না করেই। জানতেই পারল না কেন পেল। এমনি এমনিই নির্বাচিত হয়ে গেল। দেশ ধ্বংস ছাড়া কো কিছুই করেননি উনি।'

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে বারাক ওবামা, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। নরওয়ের নোবেল কমিটির বক্তব্য ছিল, তিনি আন্তর্জাতিক স্তরে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন এবং মানুষের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। 

ট্রাম্প কি এবার নোবেল পেতে পারেন?
নরওয়ের রাজধানী শহর ওসলোতে নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ীর নাম ঘোষণা হবে। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ওসলোর এই পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটকে পরোক্ষ ভাবে চাপ দিতে শুরু করেছিলেন ট্রাম্প। 

রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর নিনা গ্রেগার গাজায় শান্তি ফেরাতে ট্রাম্পের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে সতর্ক করে এ-ও বলেছেন, 'এখনও সেই সময় আসেনি, এখনই বলা যাবে না গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে এবং তা দীর্ঘস্থায়ী হবে।'

এদিকে, নোবেল চেয়ে কমপক্ষে ১০ বার কার্যত বায়না জুড়ে দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এমনকী, রাষ্ট্রসঙ্ঘের জেনারেল অ্যাসেম্বলিতেও ভাষণ দেওয়ার সময়ে তিনি বলেছিলেন, 'আমি নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য।' ভারত এবং পাকিস্তানকে এই মর্মে তাঁর হয়ে তদবির করাও দাবি তুলেছিলেন। কিন্তু ভারত সে দাবি না রাখায়, মনোক্ষুন্ন হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। গত জুলাই মাসে অবশ্য ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তাঁর আবদার রেখে, ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছিলেন। 

Advertisement

তবে ট্রাম্প এ বছর কোনও মতেই নোবেল পাচ্ছেন না কারণ মনোনয়ন নেওয়ার শেষ দিন ছিল চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি। তখন সদ্যই হোয়াটইট হাউসে দ্বিতীয়বারের জন্য পা রেখেছিলেন তিনি। ফলত এ বছরে ৩৩০টি মনোনয়নের মধ্যে ট্রাম্পে নামই নেই। তবে মনে করা হচ্ছে, একাধিক মনোনয়ন পেলে ২০২৬ সালের নোবেল প্রাইজের জন্য ট্রাম্প একজন প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন। যদিও তার জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের সত্যি সত্যি অবসান হওয়া আবশ্যক। 
 

 

POST A COMMENT
Advertisement