যদি ইরান প্রত্যাঘাত করে তবে আমেরিকার শক্তিশালী সামরিক প্রদর্শনের জন্য তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। ৩টি পরমাণু কেন্দ্রে বোমাবর্ষণের পর কার্যত এভাবেই ইরানকে হুঁশিয়ারি দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইরানের হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ট্রাম্প। ভারতীয় সময় রবিবার সকালে হোয়াইট হাউসে করা এই ভাষণে ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, 'বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে টিম হিসেবে কাজ করেছি আমরা। এবার ইরানের কাছে দু'টো রাস্তা খোলা, হয় শান্তি নয় চরম পরিণতি। আমরা সবেমাত্র কয়েকটি জায়গাকে নিশানা করেছি। আরও বাকি রয়েছে। ইরান যদি এরপরও শান্তিচুক্তিতে রাজি না হয়, তবে আমেরিকা আরও বড় হামলা চালাবে।'
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে একাধিক ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালানোর সময়ে লাইভ ওয়াররুমে উপস্থিত ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স সহ অন্যরা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, 'ট্রাম্প যা করে দেখলেন, ইতিহাস এর জন্য তাঁকে স্মরণে রাখবে।'
অন্যদিকে, আমেরিকার নাক গলানোয় পাল্টা জোরালো হুঁশিয়ারি ইরানের। ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমে আমেরিকার উদ্দেশে বার্তা, ‘এর শেষ দেখে ছাড়ব।’ এখানেই শেষ নয়, ইরানের হুঁশিয়ারি, ‘পশ্চিম এশিয়ায় থাকা প্রতিটি আমেরিকান নাগরিক ও সেনা এ বার থাকবে আমাদের নিশানায়।’
ইরানে আমেরিকার হামলার পর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্তোনিও গুতেরাস। তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার বলপ্রয়োগ দেখে তিনি আশঙ্কিত। অবিলম্বে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সমস্ত সদস্যকে উত্তেজনা প্রশমন এবং শান্তিস্থাপনের বার্তা দিয়েছেন তিনি। গুতেরাসের আশঙ্কা, এ বার পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। পরিস্থিতি চলে যেতে পারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে।