রাশির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদেমির জেলেনস্কিকে মুখোমুখি বসানোর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তাঁর মতে, তেল আর ভিনিগার কখনও মেশে না। তবে কি রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে গিয়ে হতাশ হতে পড়লেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট?
ওয়াশিংটনে দ্য পিপলস হাউস এক্সিবিটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি বলেন, 'দেখা যাক আদৌ পুতিন আর জেলেনস্কি একসঙ্গে কাজ করেন কি না। ওঁরা ঠিক যেন তেল আর ভিনিগার, যা কখনওই একে অন্যের সঙ্গে মেশে না। তেমনটা না হওয়ার অবশ্য যথেষ্ট কারণও রয়েছে।'
শান্তি সমঝোতায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তাঁর ভূমিকা ঠিক কী? এ প্রসঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'দেখা যাক আদৌ আমার প্রয়োজন পড়বে কি না। বিষয়টিতে না ঢুকতে পারলেই ভাল। ওঁরা একটা মিটিং করে দেখুন কী হয়। ততক্ষণ নিজেরা লড়াই করে নিক, মানুষ মারুক। স্টুপিডের মতো কাজ করছে ওরা। ৭ হাজার করে লোক মারছে, যারা প্রধানত সেনা।'
পূর্বে ৭টি যুদ্ধ থামিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে কি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানো তাঁর কাছে কষ্টসাধ্য? ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'আমি ভেবেছিলাম এই যুদ্ধটা মাঝামাঝি এসে গিয়েছে। তবে দেখা যাচ্ছে এটাই সবচেয়ে কঠিন।'
তবে যদি সমঝোতা না হয়, সেক্ষেত্রে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পেনাল্টি চাপানোর কড়া হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, 'যদি কোনও ডিল না হয় তবে আমার মনে হয় সেটা রাশিয়ারই দোষ হবে। আমি দ্বিতীয় দফায় পেনাল্টি আরোপ করব। ২০-২৫ শতাংশ ট্যারিফ বসাব রুশ তেলে।'
এরইমধ্যে রুশ বিদেশমন্ত্রী সার্জেই ল্যাভরভ বলেন, 'পুতিন জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহী। বর্তমানে ফর্মাল সামিটের কোনও প্রয়োজন নেই। দু'পক্ষই চাইছে ট্রাম্পকে দেখাতে যে তারা সমঝোতার জন্য প্রস্তুত। তবে মার্কিন রাষ্ট্রনেতা সন্দিহান হয়ে রয়েছেন।'