রাশিয়ার উপর দ্বিতীয় পর্বের স্যাকশন অর্থাৎ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চলেছেন তিনি। এমনটাই হুঁশিয়ারি দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তাতে নতুন করে বিপাকে পড়তে পারে ভারতও। রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত থাকায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তে প্রভাব পড়বে এ দেশেও।
সাম্প্রতিককালের ভয়াবহ এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছে মস্কো। ইউক্রেনের রাজধানী শহরে কিভে সরকারি সচিবালয় ধ্বংস হয়েছে রুশ মিসাইলে। এই ঘটনার পরই আমেরিকা নতুন করে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাশিয়া এবং সে দেশ থেকে তেল ক্রয় করা দেশগুলির উপর এবার আরও কড়া পদক্ষেপ? হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের করা এ প্রশ্নের উত্তরে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'হ্যাঁ, করব।' আর কোনও বিস্তারিত ব্যাখ্যা এ ব্যাপারে তিনি যদিও দেননি।
পূর্বে নেওয়া তাঁর রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর উদ্যোগ যে বাস্তবে কোনও কাজে আসেনি, মস্কোর হামলাই তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন ট্রাম্পকে। আর তাই অসন্তোষ চোখে-মুখে ধরা পড়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের। এনবিসি সংবাদমাধ্যমকে ট্রাম্পের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেন, 'ওয়াশিংটন এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সেই দেশগুলির উপর সেকেন্ডারি ট্যারিফ চাপাতে পারে যারা এখনও রাশিয়া থেকে তেল কিনে চলেছে। রাশিয়ার অর্থনীতি ধ্বংস হলে তবেই একমাত্র ভ্লাদিমির পুতিন চুক্তির টেবিলে বসবেন।'
গত মাসেই ভারতের উপর অতিরিক্ত ২৫% ট্যারিফ চাপিয়েছে আমেরিকা। যা ভারতের উপর তাদের ট্যারিফের পরিমাণ করেছে মোট ৫০%। নয়াদিল্লিকে বারবার নিশানা করে মস্কোর সঙ্গে তেলের চুক্তি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, এমনটা করে ভারত আদতে রাশিয়াকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সাহায্য করছে। জাতীয় শক্তি সুরক্ষার কথা জানিয়ে ভারতও বারবার প্রকাশ করেছে, রাশিয়া থেকে ক্রুড অয়েল ক্রয় করা কতটা জরুরি। দ্বিপাক্ষিক জটিলতা কাটিয়ে নিয়ে ফের একবার ভারত এবং মার্কিন মুলুক কাছাকাছি আসতে পারে বলে ট্রাম্প এবং মোদীর সাম্প্রতিক মন্তব্যে ইঙ্গিত মিলেছিল। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্টের ফের নিষেধাজ্ঞার হুমকি সেই ইঙ্গিতকে বেশিদূর জিইয়ে রাখতে পারবে না বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।