চাপে পড়ে অবস্থান বদল? বৃহস্পতিবার এক নতুন আদেশে স্বাক্ষর করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন আমেরিকা জাপান ট্রেড ডিলের সূচনা করলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প বলছেন, এই চুক্তি নাকি 'আমেরিকা জাপান বাণিজ্য সম্পর্কের এক নতুন যুগে'র সূচনা করবে। নয়া চুক্তি অনুযায়ী, মার্কিন মুলুকের বাজারে আসা প্রায় সমস্ত জাপানি আমদানির উপর ১৫ শতাংশ বেসলাইন ট্যারিফ বসানো হবে। তবে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় থাকবে। যেমন অটোমোবাইল ও অটো পার্টস, এয়ারোস্পেস পণ্য, সাধারণ ওষুধ এবং যে সমস্ত প্রাকৃতিক সম্পদ মার্কিন বাজারে সহজলভ্য নয়, তাদের জন্য সেক্টরভিত্তিক ছাড় দেওয়া হয়েছে। আগে এই ট্যারিফের হার ছিল ২৫ শতাংশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্যারিফ যুদ্ধের সূচনা করে এখন নিজেই 'একঘরে' হয়ে গিয়েছে আমেরিকা। বিশেষত সাম্প্রতি SCO সামিটে ভারত, রাশিয়া, চিন ও অন্য দেশগুলির পারস্পরিক সহায়তার বার্তায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর সেই কারণেই তড়িঘড়ি জাপানকে ছাড়পত্র দেওয়ার মাধ্যমে ভারসাম্য ফেরানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে আন্দাজ বিশ্লেষকদের।
প্রথমে ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা করেছিল, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ ট্যারিফ বসানো হবে। সে সময় আলোচনার মাঝপথেই থমকে গিয়েছিল আমেরিকা ও জাপানের মধ্যে ট্রেড ডিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প প্রশাসন চূড়ান্ত নিল। জাপানের উপর ১৫ শতাংশ বেসলাইন ট্যারিফই কার্যকর হবে।
হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, 'এই চুক্তির অধীনে আমেরিকায় আসা প্রায় সব জাপানি আমদানির উপর ১৫ শতাংশ বেসলাইন ট্যারিফ কার্যকর হবে। এই কাঠামো পারস্পরিক নীতি এবং আমাদের যৌথ জাতীয় স্বার্থের উপর ভিত্তি করে তৈরি।'