Donald Trump New Tariff: হঠাত্‍ ওষুধের উপর ১০০% ট্যারিফ ঘোষণা ট্রাম্পের, বিপদে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা, এবার কী হবে?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা ওষুধের উপর ১০০ শতাংশ ট্যারিফ চাপিয়ে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর জেরে ভারতের ওষুধ রফতানিকারকদের মাথায় হাত। আমেরিকায় পাঠানো ওষুধের উপর ১০০ শতাংশ ট্যারিফ মানে ভারতীয় ওষুধ ব্যবসায়ীদের বিপুল অঙ্কের ক্ষতি। এর ফলে ঘুর পথে ওষুধের দাম বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল।

Advertisement
হঠাত্‍ ওষুধের উপর ১০০% ট্যারিফ ঘোষণা ট্রাম্পের, বিপদে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা, এবার কী হবে?মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
হাইলাইটস
  • একাধিক পণ্যের উপর মোটা অঙ্কের ট্যারিফ
  • পয়লা অক্টোবর থেকেই শুরু
  • মেক ইন আমেরিকা নীতি বোঝাচ্ছেন ট্রাম্প

একবার বলেন ভারতকে বন্ধু, তারপরেই মোটা ট্যারিফ ঘোষণা করে দেন। আবার পরক্ষণেই দাবি করেন, ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক মজবুত। বস্তুত, মার্কন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের খামখেয়ালিপনা চলছেই। যার জেরে অতিষ্ঠ বিশ্বের একটি বড় অংশ। এবার ওষুধের উপর ১০০ শতাংশ ট্যারিফ ঘোষণা করে দিলেন ট্রাম্প। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা ওষুধের উপর ১০০ শতাংশ ট্যারিফ চাপিয়ে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর জেরে ভারতের ওষুধ রফতানিকারকদের মাথায় হাত। আমেরিকায় পাঠানো ওষুধের উপর ১০০ শতাংশ ট্যারিফ মানে ভারতীয় ওষুধ ব্যবসায়ীদের বিপুল অঙ্কের ক্ষতি। এর ফলে ঘুর পথে ওষুধের দাম বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল।

একাধিক পণ্যের উপর মোটা অঙ্কের ট্যারিফ

এছাড়াও গৃহস্থালির নানা সামগ্রীর উপর ৫০ শতাংশ, আসবাবের উপর ৩০ শতাংশ এবং মালবাহী ট্রাকের উপর ২৫ শতাংশ ট্যারিফের ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর বক্তব্য, আমেরিকার মাটিতেই এসব পণ্য উৎপাদন করতে হবে। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক বৈঠকে হঠাত্‍ করেই ঘোষণা করে দেন তিনি। বলেন, 'যত দিন না বিদেশি ওষুধ কোম্পানিগুলি আমেরিকায় উত্‍পাদন করা শুরু করবে, তত দিন পর্যন্ত আমেরিকায় তাদের ওষু রফতানি করতে হলে ১০০ শতাংশ ট্যারিফ দিতে হবে।' ট্রাম্পের নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া Truth -এ পোস্ট করেছেন, 'আমেরিকায় মাটি খোঁড়ো, কারখানা বানাও, এটাই ডিল।'

সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্পের পোস্ট
সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্পের পোস্ট

পয়লা অক্টোবর থেকেই শুরু

ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী, এই ট্যারিফ লাগু হয়ে যাবে ১ অক্টোবর থেকেই। বাথরুমের নানা আসবাব, প্রশাধন ও গৃহস্থালীর পণ্যের উপরেও ৫০ শতাংশ ট্যারিফ চাপছে। এছাড়া বড় ট্রাকের আমদানিতে চাপছে ২৫ শতাংশ ট্যারিফ। অর্থাত্‍ এই সব সামগ্রী আমেরিকায় রফতানি করলে বা আমেরিকার বাজারে বিক্রি করলে মোটা অঙ্কের ট্যারিফ গুনতে হবে।   

মেক ইন আমেরিকা নীতি বোঝাচ্ছেন ট্রাম্প

ট্রাম্পের দাবি, বিদেশি কোম্পানিগুলি সস্তায় মাল বিক্রি করে আমেরিকার নিজের কোম্পানিগুলিকেই ধাক্কা দিচ্ছে। তাঁর কথায়, মার্কিন বাজার ভরে যাচ্ছে বাইরের দেশ থেকে আসা ফার্নিচার, ক্যাবিনেট, ভারী ট্রাক আর গাড়ির যন্ত্রাংশে। ট্যারিফ বসানো খুব জরুরি।  শুধু দেশের নিরাপত্তার জন্য নয়, আমেরিকার নিজস্ব শিল্পকে বাঁচাতেও।

Advertisement

সমালোচকদের মতে, এই স্ট্র্যাডেজি উল্টে মুদ্রাস্ফীতি হার আরও বাড়াতে পারে। আবার আগের ট্যারিফের  ধাক্কা সামলে ওঠা ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন খরচ ও অনিশ্চয়তাও তৈরি করবে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে বলছেন, আমরা আমেরিকান চাকরি বাঁচাচ্ছি, আমেরিকান কারখানা রক্ষা করছি। বিষয়টা একেবারে সহজ। যারা এখানে বিক্রি করতে চাইবে, তাকেই এখানেই উত্‍পাদন করতে হবে।


 

POST A COMMENT
Advertisement