Iran Israel War: ইরানের সুপ্রিম লিডার খামেনেইকে হত্যার ইজরায়েলি ষড়যন্ত্র রুখেছেন! বড় দাবি ট্রাম্পের

ইরানের সুপ্রিম নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল ইজরায়েল। ভিটো পাওয়ারের প্রয়োগ করে যা রুখে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, এমনটাই দাবি করেছেন দুই মার্কিন উচ্চপদস্থ কর্তা। এদিকে, ইরান-ইজরায়েলের মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত।

Advertisement
ইরানের সুপ্রিম লিডার খামেনেইকে হত্যার ইজরায়েলি ষড়যন্ত্র রুখেছেন! বড় দাবি ট্রাম্পেরবেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, ডোনাল্ড ট্রাম্প, আয়াতোল্লা খামেনেই
হাইলাইটস
  • আয়াতোল্লা আলি খামেনেইকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল ইজরায়েল
  • ভিটো পাওয়ারের প্রয়োগ করে যা রুখে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
  • ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষ বাড়ছে মৃত্যু

ইরানের সুপ্রিম লিডার আয়াতোল্লা আলি খামেনেইকে প্রাণে মারার পরিকল্পনা করেছিল ইজরায়েল। ভিটো পাওয়ারের ক্ষমতা প্রয়োগ করে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনটাই দাবি করলেন দুই মার্কিন প্রশাসনিক আধিকারিক। 

রয়টার্সকে এক উচ্চপদস্থ মার্কিন আধিকারিক বলেন, 'এখনও পর্যন্ত কোনও আমেরিকানকে হত্যা করেছে ইরান? না। যতক্ষণ না পর্যন্ত কোনও মার্কিনির গায়ে হাত পড়ছে, রাজনৈতিক নেতাদের বিষয়েও আমরা কোনও মন্তব্য করব না।' এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, 'অনেক ভুয়ো খবর রটছে। যার কোনও ভিত্তি নেই। যা কখনও হয়নি, তা নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে রাজি নই।' তবে তাঁর সংযোজন, 'যা প্রয়োজন, তা-ই করছি আমরা। আর আমেরিকা জানে কোনটা সঠিক আর কোনটা নয়।'

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন উচ্চপদস্থ কর্তারা জানিয়েছেন, ইজরায়েলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে ওয়াশিংটন। ইরানের পরমাণু প্রোগ্রাম রুখে দিতে ইজরায়েল কী কী ছক কষেছে, তা সম্পর্কে অবগত হোয়াইট হাউস। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প হামলার সিদ্ধান্তে সরাসরি যুক্ত কি না, তা নিয়ে মন্তব্য এড়িয়ে গিয়েছেন মার্কিন কর্তারা। সূত্রের খবর, বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে কথোপকথন হচ্ছে তাঁর। 

অন্যদিকে, একটি টেলিভিশন ইন্টারভিউতে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ইরানের শাসক পরিবর্তন ইজরায়েলের বর্তমান প্রতিক্রিয়ার অন্যতম কারণ। আর এই হামলা সম্পর্কে সবটাই জানানো হয়েছে আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে। 

এদিকে, রবিবার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। মিসাইল, পাল্টা মিসাইল হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত দু'দেশেরই একাধিক এলাকা। আন্তর্জাতিক মহল থেকে সংঘর্ষবিরতির আর্জি জানানো হলেও, দুই দেশই তাতে কর্ণপাত করেনি। 

ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, তিন দিন টানা ইজরায়েলি হামলায় এখনও পর্যন্ত ২২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ইরানে। আহত ১২৭৭। যদিও একাধিক মানবাধিকার সংস্থার দাবি, এই মৃত্যুর সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে। রবিবারের হামলায় মৃত্যু হয়েছে ইরানের অভিজাত বাহিনী রেভলিউশনারি গার্ড কোরের (IRGC) গোয়েন্দা শাখা প্রধান মহম্মদ কাজমির। নিহত হয়েছেন তাঁর ডেপুটি হাসান মোহাক্কেকও। এছাড়াও হামলায় নিহত হয়েছেন দুই ইরানি জেনারল। ইজরায়েলের হামলার পাল্টা জবাব দিয়ে যাচ্ছে ইরান। ইরানও গত শুক্রবার থেকে ইজরায়েলের উপর পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সেই হামলায় এখন পর্যন্ত ১৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে নেতানিয়াহুর সরকার।

Advertisement

ইরানের উপ বিদেশমন্ত্রী সইদ খাতিবজাদেহ রবিবার জানিয়েছেন, সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের একটি ভবনে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। সোশ্যাল মিডিয়াতে সাইদ খাতিবজাদেহ দাবি করেন, তেহরানে বিদেশ মন্ত্রকের গ্রন্থাগারে ‘পরিকল্পিত ও বেপরোয়া’ হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। তাতে কয়েকজন সাধারণ নাগরিক আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, ইজ়রায়েল যা করছে তা আসলে যুদ্ধাপরাধ। পাল্টা ইজরায়েল দাবি করেছে, তাদের দিকে আসা শতাধিক ইরানি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। ইরানকে লক্ষ্য করে মিসাইল ছোড়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইজরায়েলের সেনাবাহিনী।

 

POST A COMMENT
Advertisement