ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতি হয়েছে তাঁর জন্যই। একথা বহুবার দাবি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আবার সম্প্রতি এ-ও বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তান নিজেরাই যুদ্ধবিরতি করেছে। আবার, এই নিয়ে নিজের দাবিতে অনড় রইলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে ট্রাম্পকে ২০২৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে পাকিস্তান। এর পরই ট্রাম্প আক্ষেপের সুরে বললেন, 'ভারত-পাক যুদ্ধ থামানোর পরেও নোবেল শান্তি পুরস্কার পাব না।' যা এই পর্বে নতুন মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী বলেছেন ট্রাম্প?
আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বলেছেন, 'ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ থামানোর পরও আমি নোবেল শান্তি পুরস্কার পাব না। আমি নোবেল পুরস্কার পাব না, সে আমি যা-ই করি না কেন।'
প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। এরপরই অপারেশন সিঁদুর করে 'বদলা' নেয় ভারত। পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং এই প্রথম পাকিস্তানে ভূখণ্ডে ঢুকে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। ভারতের প্রত্যাঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় পাকিস্তানের। শেষে পাকিস্তানের অনুরোধ মেনে যুদ্ধবিরতির পথে হাঁটে ভারত। যদিও সংঘর্ষবিরতির কথা ট্রাম্পই প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান। যা ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। একাধিক বার ট্রাম্প দাবি করেছেন যে, তিনি ভারত ও পাকিস্তানের সংঘর্ষ থামাতে মধ্যস্থতা করেছেন। যদিও ভারত ট্রাম্পের এই দাবি খারিজ করে দিয়েছে। সম্প্রতি ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথোপকথনেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, সংঘর্ষ বিরতিতে আমেরিকার কোনও ভূমিকা নেই। এরপরেও ফের নিজের দাবিতে অনড় রইলেন ট্রাম্প।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতিতে ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ এবং তাঁর ভূমিকার কথা তুলে ধরেছে ইসলামাবাদ। এজন্য ট্রাম্পের ভূয়সী প্রশংসা করেছে পাকিস্তান। এক বিবৃতিতে পাক সরকারের তরফে বলা হয়েছে যে, দুই দেশের মধ্যে পুরোদমে যুদ্ধ শুরু হয়ে যেত, যদি না ট্রাম্প হস্তক্ষেপ করতেন।পাকিস্তান দাবি করেছে, 'একটা কঠিন পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লির মধ্যে যোগাযোগ করে দুর্দান্ত কৌশলগত দূরদর্শিতা দেখিয়েছেন ট্রাম্প।' মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রচেষ্টার ফলেই সংঘর্ষবিরতি হয়েছে বলে পাকিস্তান উল্লেখ করেছে। আর এ জন্যই এবার ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার জন্য মনোনীত করেছে ইসলামাবাদ।