আকাশ থেকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বড় বিপদ। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা এ বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে। NASA-র মতে, 2024 TP17 নামের একটি গ্রহাণু ভারতীর সময় ২৪ অক্টোবর দুপুর ১:৫০ মিনিটে পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে যাবে। একটি বিমানের আকারের এই গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে আনুমানিক ৪৬ লাখ কিলোমিটার দূর দিয়ে চলে যাবে। জ্যোতির্বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে এই দূরত্ব পৃথিবীর খুব কাছাকাছি।
গ্রহাণু 2024 TP17 এর গতি
১৭০ ফুট আকারের এই গ্রহাণুটি ২০,৮৩২ কিমি/ঘন্টা বেগে মহাকাশে ভ্রমণ করছে। এই কারণেই নাসা এটিকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা পৃথিবীর কাছাকাছি বস্তুর বিভাগে রেখেছে। তবে গ্রহাণুর জন্য এ ধরনের গতি স্বাভাবিক। কিন্তু এর পৃথিবীর কাছে চলে আসা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
পৃথিবীর জন্য কী হুমকি?
পৃথিবীর নিকটতম বিন্দুর সঙ্গে এই গ্রহাণুটির দূরত্ব থাকবে ৪৬,৪০,৪০০ কিলোমিটার। এটি পৃথিবী ও চাঁদের দূরত্বের (৩.৮৪ লাখ কিমি) চেয়ে ১২ গুণ বেশি। এই দূরত্বটি খুব বেশি মনে হতে পারে, তবে গ্রহাণুগুলি পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এটিকে কাছাকাছি বলে মনে করা হয়। তবে নাসা নিশ্চিত করেছে যে গ্রহাণুটি বর্তমানে পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয়।
নাসা পর্যবেক্ষণ করছে
NASA-র সেন্টার ফর নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজ সম্ভাব্য ঝুঁকি নিরীক্ষণের জন্য 2024 TP17-এর মতো গ্রহাণুগুলিকে ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করছে। সংস্থাটি এই মহাকাশ শিলাগুলির গতিপথের ডেটা সংগ্রহের জন্য বিশ্বজুড়ে মানমন্দিরগুলির একটি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে। যদিও গ্রহাণু থেকে তাৎক্ষণিক কোনো হুমকি নেই, তবে নাসা ক্রমাগত গ্রহ সুরক্ষা কৌশল উন্নত করার জন্য কাজ করছে। NASA-র ট্র্যাকিং এবং উন্নত প্রযুক্তি মহাকাশে সম্ভাব্য হুমকি থেকে পৃথিবীকে সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করে।
প্রসঙ্গত আমেরিকার মহাকাশ সংস্থা নাসা গ্রহাণু নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে। সর্বশেষ সতর্কবার্তা অনুযায়ী, এই সপ্তাহে ৬টি গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে অগ্রসর হতে পারে। এগুলি অত্যন্ত বিশাল এবং প্রচণ্ড গতিতে পৃথিবীর চারদিকে ঘোরাফেরা করছে। যদি তারা পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষ হয়, অগ্নিঝড় হতে পারে। সমুদ্রে ঝড়ের ঢেউ এবং পৃথিবীর প্লেট চলাচলের কারণে ভূমিকম্পের আশঙ্কা হতে পারে। যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যর্থতার কারণে বিদ্যুৎ বিপর্যয় এবং ডিজিটাল বন্ধের কারণে ব্ল্যাকআউটের ঝুঁকিও রয়েছে। তাই নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি (জেপিএল) এই গ্রহাণুর ওপর ক্রমাগত নজর রাখছে, যাতে পৃথিবীর মানুষকে যেকোনো ধরনের বিপদের বিষয়ে সময়মতো সতর্ক করা যায়।